অভিযোগ প্রতিবেদক :: কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীতে ওসি তাজুল ইসলামের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে পাথর শ্রমিক ও স্থানীয় জনতারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে প্রায় কয়েক হাজার পাথর শ্রমিক সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
শ্রমিকরা বলছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ওসির মনোনীত স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্ররা অহেতুক প্রতি নৌকা থেকে চাঁদা আদায় করছে। বিগত সময়ে পুলিশ প্রশাসন শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা না নিলেও বর্তমান ওসি তাজুল ইসলাম থানায় যোগদানের কিছু দিনের মধ্যেই চাঁদা নেওয়া শুরু করেন। ওসির মনোনীত এএসআই এনামুল, পুলিশের টহল দল ও স্থানীয় চাঁদাবাজরা ওসি তাজুলের নামে চাঁদা উত্তোলন করছেন।
চাঁদা উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে তারা স্মারকলিপি প্রদান করবেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিকরা জানান- ধলাই নদীতে বালুবাহী নৌকা থেকে ১ থেকে ৩ হাজার, পাথরবাহী নৌকা থেকে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা, লিস্টার মেশিন থেকে ২ হাজার ২ শত টাকা, সেলো মেশিন থেকে ১৫শত টাকা, বারকি নৌকা থেকে ৫ শত টাকা ও ইঞ্জিন নৌকা থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করাচ্ছেন থানা পুলিশের ওসি তাজুল ইসলাম।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন- চাঁদা উত্তোলন বন্ধের দাবিতে শ্রমিকরা টুকেরবাজারে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করলে, থানার ওসি তাজুল ইসলাম বিক্ষোভ না করার আহ্বান জানান। শ্রমিকরা তাদের দাবি দাওয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ করবেন একথা জানালে ওসি তাজুল শ্রমিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, বিক্ষোভকারীদের উপর কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ এর দায়ভার নেবেনা। এমনটি শ্রমিকদের নানা ধরণের হুমকি দমকি দিয়ে বিক্ষোভ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন ওসি।
এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে এএসপি (সার্কেল) নজরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা তাদের দাবি দাওয়া আদায়ে বিক্ষোভ করতে পারে। এটা তাদের অধিকার। এতে ভয় ভীতি দেখানোর কোন রীতি নেই পুলিশের। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেবে। যাতে দুস্কৃতিকারীরা কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায়। শ্রমিকদের সাথে ওসির বিরূপ মন্তব্যে এএসপি নজরুল ইসলাম বলেন, ওসির এমন বক্তব্য দুস্কৃতিকারীদের উস্কানী দিবে। তিনি অারো বলেন, আমি এ ব্যাপারে ওসির সাথে কথা বলছি।