সৈয়দ রুবেল,ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে ঝালকাঠিতে বিনয়কাঠির রায়ের বাড়ি শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দিরসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে।
০৮/১০/২০১৯ইং তারিখ মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যদায় ঝালকাঠিতে ১৭৩ টির বেশি পূজামন্ডপে পূজা-অর্চণা, শ্রদ্ধঞ্জলী নিবেদন এবং প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গা ভক্তরা পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব উদযাপন করেন।
এদিকে ১৭৩ টি মন্ডপ এর মধ্যে রায়বাড়ি শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির একটি পারিবারিক মন্দির, একই সাথে এই মন্দিরে ৩৫২ তম শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা উদযাপিত হয়।
রায়বাড়ি শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের তপন কুমার রায় জানান, আমাদের আদিপুরুষ থেকেই এই মন্দিরে পারিবারিকভাবে শ্রী শ্রী দূর্গা পূজা পালন করে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ সালে এই মন্দিরের নতুন সংস্করণ করা হয় এবং প্রতি বছরই শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হয়।
তিনি আরো জানান আমাদের এই পুজোতে শুধু সনাতন ধর্মই নয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে আমাদের পুজোতে আসে এবং আমাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।
সার্বজনীন এই উৎসবের প্রত্যেক দিনই সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়র সকল বয়সের নারী-পুরুষ মন্ডপে-মন্ডপে গিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন। পাশাপাশি দূর্গতি নাশিনী দেবীদূর্গার কৃপা লাভের আশায় তারা আরাধনা করেন।
প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে রায়বাড়ি শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দিরসহ ঝালকাঠিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। প্রতিটি পূজামন্ডপে বিপুলসংখ্যক আনসার, ব্যাটালিয়ান পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টও ও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা (সিসিটিভি)।
পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন মঙ্গলবার ছিল বিজয়া দশমী। উমার (দেবীদূর্গা) ফিরে যাওয়ার দিন। ‘অকাল বোধনে’ কৈলাস থেকে শরতের পঞ্চম তিথিতে ঘোড়ায় চড়ে উমা আসেন পিতৃগৃহে। পাঁচ দিন পর দশমী তিথিতে আবার ফিরে যান কৈলাসে।
এদিকে মঙ্গলবার দিন-শেষে দেবী দুর্গার বিদায়বেলায় আনন্দ-বেদনার মিশ্রণ অনুভূতিতে ‘মা দূর্গা’র ভক্তদের হৃদয় সিক্ত করে তুলে রায়বাড়ি শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের পূজারী ও ভক্তবৃন্দ।
মঙ্গলবার দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন দেয়া হয়। দশমীতে বিভিন্ন পূজামন্ডপে সিঁন্দুর খেলায় মেতে উঠেন ‘মা দুর্গা’ ভক্তরা।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রতিমা বিসর্জনের উদ্দেশ্যে ঝালকাঠির বিনয়কাঠি রায়বাড়ি শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দিরে দেবী দুর্গার সিঁদুর পরিধান করেন।
এর আগে ঝালকাঠির রায়বাড়ি শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির পূজামন্ডপে ভক্তরা জমা হতে থাকেন মন্ডপে। সেখান থেকে সম্মিলিতভাবে মন্ত্রচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিজয়ার যাত্রা।
দুর্গা মন্দিরের-কাশরীর বাদ্যি-বাজনার তালে-তালে যাত্রাটি গোধুলিলগ্নে পুরাতন নদীর তীরে গিয়ে যাত্রাটি শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিমা বিসজৃন দেওয়া হয়।