২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

লামায় ৮টি পূজা মন্ডপে সাজ সাজ রব , বিশেষ আকর্ষণ “মেঘের গর্জন”

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০১৯
লামায় ৮টি পূজা মন্ডপে সাজ সাজ রব , বিশেষ আকর্ষণ “মেঘের গর্জন”

 

উনুয়ই মার্মা রুহি ,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ৮টি পূজা মন্ডপে বর্ণাঢ়্য আয়োজনে উদযাপিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা,২০১৯ ইং। এই উপলক্ষে মন্ডপে মন্ডপে চলছে, সাজের আওয়োজন। পূজা শুরুর বাকী মাত্র ১ দিন (৪- ৮ অক্টোবর) । ২৯ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন তথা দেবীপক্ষের।

পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা মহালয়ার দিন পা রাখবেন মর্তলোকে। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রস্তুতি। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি আর ডেকোরেশনের শেষ ঘষামাজার কাজ। এদিকে দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে পুরো বর্ণিত উপজেলায় উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

আর পূজাকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও আইন -শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর এরই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন লামা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপেল্লা রাজু নাহা।

সরেজমিনে জানা যায়,এবারে লামা উপজেলায় মোট ৮টি মন্ডপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে লামা পৌরসভায় কেন্দ্রীয় হরিমন্দির ও চম্পাতলী লোকনাথ মন্দির এ ২টি, লামা সদর ইউনিয়নে মেরাখোলা হরিমন্দির ১টি,ফাঁসিয়াখালীতে ৪টি, আজিজনগর ইউনিয়নে ১টিসহ মোট ৮টি উপজেলায় মন্ডপ রয়েছে।

এবছর দেবী দুর্গা আগমন করবেন ঘোটকে আর গমনও করবেন ঘোটকে। দুর্গাপূজার আর মাত্র ১ দিন বাকী থাকলেও ৪/৫ দিন থেকে সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষের মাছে কড়া নাড়ছে দূর্গোৎসবের আনন্দের বারতার। শুধু সনাতনী সম্প্রদায় নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে এ দুর্গোৎসব একটি সামাজিক উৎসবও বটে।

লামা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল দাশ,সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ,সি,সহ-সভাপতি রতন দত্ত,অর্থ সম্পাদক গোপন চৌধুর জানান, এবছর দুর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ ।

এখন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা ও পুজার মঞ্চ তৈরির কাজ। তারা পুজাকে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে উদযাপন জন্য প্রশাসনসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।এক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর (ঊশৈসিং) এমপি সরাসরি উৎসবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে সংশিষ্টরা।

লামা থানার ওসি অপেল্লা রাজু নাহা জানান, পুজাকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতোই পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূর্জামন্ডবে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সে লক্ষ্যই ইতোমধ্যে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে ইতিমধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ- জন্নাত রুমি জানান, এবারে সরকারিভাবে লামা উপজেলার ৮টি পূর্জা মন্ডবের জন্য ১৬ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য লামা কেন্দ্রীয় হরিমন্দিরে সাড়ে ৫ মে,টন আর বাকি ৭টি মন্ডপে প্রতিটিতে দেড় মে,টন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়।এর পাশিপাশি শারদীয় দূর্গােৎসবের সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য আইন- শৃংখলা বাহিনীরা মাঠে থাকবেন।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031