তানজিলা আক্তার রুবি, নেত্রকোনাঃ
নেত্রকোনা জেলা আটপাড়া উপজেলার স্বরমশিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী স্কুল ড্রেস পরে যায়নি বলে তাকে সাক্ষর করতে দেয়নি এবং অপমান করে বের করে দেন কোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল আমীন ও লাইব্রেরীয়ান রতন মিয়া । পরিবর্তিত সময় জিজ্ঞাসায় তা অস্বীকার করেন।
ঐ শিক্ষার্থী স্বরমশিয়া ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের আমিনুল হক শাহ্ মেয়ে। সুমনা আক্তার এবছর সাইন্সিস থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিবে। শিক্ষার্থীর পরিবার ৪-৫ মাস পূর্বে নেত্রকোনা চলে যাওয়ায় সে আর ক্লাস করতে পারেনি । সে ছাত্রী হিসাবে ভাল ছিল ক্লাসে রোল -২ । আনুমানিক ১৭ -০৯-১৯ তারিখ স্কুলে সাক্ষর দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক ড্রেসের অযুহাত দেখিয়ে অপমান করে বের করে দেয়। সে ক্লাস করতে যায়নি শুধু সাক্ষর দিতে গিয়ে ছিল। এতে ছাত্রী সুমনা আপমান বোধে পড়াশোনা ঐ স্কুলে করবে না বলে জানায় এবং বাড়ি থেকে না বলে চলে যায় । শিক্ষার্থীর মা- বাবা বিষয়টি জানার জন্য প্রধান শিক্ষককে ফোন দেন তখন তিনি কারণ টি বলেনি , তিনি ড্রেস ছাড়া সাক্ষর করতে দিবে না এবং এমন নিয়ম নেই বলে ও জানান। রতন মিয়াও সুমনা কে যা ইচ্ছে তাই বলেছে পরীক্ষা কিভাবে দিবে তা দেখে নিবে । শিক্ষার্থীর মা ইয়ামিন আক্তার বললেন, আমার মেয়ের কিছু হলে প্রধান শিক্ষক কে এর জবাব দিতে হবে। পরে তারা খবর পায় সুমনা ঢাকায় তার চাচার বাসায় আছে।
সুমনার বাবা বলেন , ছাত্রছাত্রীরা ভূল করতেই পারে তাই বলে একজন স্কুলের শিক্ষক না বুঝিয়ে কোন ভাবেই কোন ছাত্রছাত্রীকে এভাবে অপমান করতে পারেন না। এর বিচার চায় বলে ও জানান।
জেলা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ইউনোর কাছে প্রধান শিক্ষকের ও রতন মিয়ার দৃর্ষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করচ্ছেন শিক্ষার্থীর বাবা -মা ।