২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সাঘাটায় বন্যা পরবর্তী জনদূর্ভোগ চরমে

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
সাঘাটায় বন্যা পরবর্তী জনদূর্ভোগ চরমে

 

জাহিদুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
বন্যায় রাস্তা ও ব্রিজ, কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। কোনো কোনো সড়কে স্থানীয় প্রচেষ্টায় কাঠ ও বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কোনোমতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হলেও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। বন্যার পানির প্রবল তোড়ে সবগুলো সড়কের কালভার্ট ভেঙে ভেসে যাওয়ায় যাতায়াত নিয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

বন্যার পানির প্রচণ্ড চাপে উপজেলার বোনারপাড়া-ত্রিমোহনী সড়কের পল্টুরমোড় ব্রিজ, ভূতমারা সড়কের রেলগেট ব্রিজ, বাটি ব্রিজের এপ্রোচ, মহিমাগঞ্জ সড়কের রেল সড়ক সেতুর এপ্রোচ, ওয়ারেছ চেয়ারম্যানের বাড়ির ব্রিজ সংযোগ, জুমারবাড়ির কাঠুর সড়ক, গাছাবাড়ির রেলগেট কালভার্ট, সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়কের পোড়াবাড়ি বাঁধ, মিয়ারবাজার-নয়াবন্দর সড়ক, মিয়ারবাজার-শংকরগঞ্জ সড়ক, গোবিন্দপুর ধোপার ভিটা রাস্তা, হলদিয়া সড়ক, গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়া সড়ক, হলদিয়ার চানপাড়া সড়ক ও ভরতখালী সড়কের ফায়ার সার্ভিসের নিকট ভেঙে ভেসে গেছে। সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব সড়কের কোনো কোনো জায়গায় স্থানীয় প্রচেষ্টায় কাঠ ও বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কোনোমতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হলেও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে করে নিভৃত পল্লীর কৃষকরা হাটবাজারগুলোতে মালামাল আনা-নেয়া করতে পারছে না।

উপজেলার বাটি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওয়ারেছ প্রধান জানান, গ্রামের সব রাস্তা ভেঙে গেছে বন্যায়। গত ৩০ বছরে এত ভোগান্তি হয়নি বলেও জানান এই কৃষক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোতে এলাকার লোকজনের কষ্ট লাঘবে স্থানীয়ভাবে নিজ উদ্যোগেই বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ৫টি স্থানে সাঁকো তৈরি ও মাটির বস্তা ফেলে অস্থায়ী ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতায় অস্থায়ী ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ ও সড়কের তালিকা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031