রাকিব হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
ভোলায় যৌতুকের দায়ে স্ত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড স্বামী। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চললেছ। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ৪ বছর পূর্বে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ৭নং ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে দক্ষিণ জয়নগর ১নং ওয়ার্ডের মোসলেমের ছেলে মোশারেফের বিয়ে হয়ে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের লোক জন্য মোটা অংকের যৌতুকের দাবী করে শারমিনের পরিবারের কাছে। শারমিনের মা মেয়ের সুখের জন্য জমি বিক্রি ও ধার-দেনা করে গত ৪ বছরে ২লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করে জামাই মোশারেফকে। কিন্তু এতেও স্বামীর সংসারে সুখ মেলেনি বাবা হারা শারমিনের। কিছুদিন পূর্বে ফের পরবিত্তুলোভী স্বামী মোশারেফ ২লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে শারমিনের পরিবারের কাছে। শারমিনের পরিবার বার বার মোশারেফেরে এ অন্যায় আবদার মানতে ব্যার্থ হলে, তার উপর নেমে আসে অমানুষিক জুলুম অত্যাচাল। সপ্তাহখানেক আগে এ যৌতুকের টাকাকে কেন্দ্র করে শারমিনের সাথে বাক বিতন্ড হয় স্বামী মোশারেফ ও তার পরিবারের লোক জনের সাথে। এর রেশ ধরে স্বামী মোশারেফ, শ্বশুর মোসলেম, ভাই রাসেল ও মোশারেফের মা এক হয়ে শারমিনের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরবর্তিতে শারমিন এ বিষয়টি তার পরিবার ও থানা-পুলিশকে জানাতে চাইলে সন্ত্রাসীরা তাকে ৬ দিন যাবৎ জোড় পূর্ব ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে, শারমিন জনায়, গত ৬ দিন যাবৎ উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা তাকে উপস রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার স্থানীরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সে বর্তমানে অশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী শারমিন ও তার পরিবার।