এম আকাশ, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আধুনিক যুগে এসেও মেয়েরা নির্যাতিত ,ধর্ষিত ভাবতেও আবাক লাগে। আর এটা এখন স্বাধীন বাংলার প্রতিদিনের ছবি, তাহলে আমরা কি জাতী হিসাবে দিন দিন অসভ্য হয়ে যাচ্ছি ? সঠিক উত্তর মেলানো বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুব একটা সহজ না। দেশটা কি দিন দিন ধর্ষনের কারখানা হয়ে যাবে, ভাবতেও লজ্জা লাগে।আর এবার অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর ইসলামসহ দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিকালে এ মামলাটি দায়ের করেন মেয়েটির দাদা। এদিকে এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত বধূর নাম আয়েশা খাতুন বলে মামলার নথীতে জানা গেছে। তিনি শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের গোপালপু্রের প্রবাসী রঞ্জুর স্ত্রী। ধর্ষক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুর ইসলাম একই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাফিজুরের সাথে পরিচয় হয় কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শৈলখালি গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীর। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে হাফিজুর অপহরন করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনার মেয়ের দাদা শ্যামনগর থানায় উদ্ধারের জন্য জিডি করার পর পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করেন। হাফিজুর মেয়েটিকে শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের প্রবাসী রঞ্জুর বাড়িতে ৫দিন আটকে রাখে। সেখানে রঞ্জুর স্ত্রী গৃহবধূ আয়েশার সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং গৃহবধূ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তবে, এ সময় ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও এই মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর ইসলাম। এদিকে, উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর জন্য সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আনিছুর রহমান মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে শ্যামনগরে থানায় দুই জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে গৃহবধূ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ মামলার অন্যতম আসামী হাফিজুরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।