১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই : বন্ধুর সাথে পরকীয়া

অভিযোগ
প্রকাশিত জুন ২, ২০১৯
স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই : বন্ধুর সাথে পরকীয়া

!অভিযোগ ডেস্ক :: পরকীয়া অপরাধ নয়! খোদ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এটা জানিয়েছে। কিন্তু, সেই পরকীয়া সম্পর্কের জন্যই খুন হলেন এক যুবক।

এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক করার অভিযোগে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় ওই যুবককে। রেললাইনের ধার থেকে ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

ভারতের পুরুলিয়ার গোয়ালাডিতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম ললিত মাহাত। পুরুলিয়ার কোটশিলার চয়াডি গ্রামে বাড়ি ললিত মাহাতের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিবাহিত এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান ললিত। গোয়ালডি গ্রামের বাসিন্দা অশ্বিনী গোপের মেয়ে পদ্মাবতীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ললিতের। মাত্র ১২ বছর বয়সী পদ্মাবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। তাদের সংসারে দুই সন্তানও হয়। কিন্তু, তারপরই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এতে করে দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরে। একপর্যায় স্ত্রী পদ্মাবতীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে চলে যায় ললিত। এরপর থেকে ৪ বছর ধরে বাবার বাড়িতেই আছেন পদ্মাবতী।

অথচ কলেজে পড়ালেখার সময় ললিতের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পদ্মাবতীর। যদিও বাবার বাড়িতে ফিরে আসার পর নতুন করে ললিতের সঙ্গে সম্পর্ক দানা বাঁধে পদ্মাবতীর। ইতোমধ্যে ললিতেরও বিয়ে হয়েছে। একটি সন্তানও আছে তার। তবে একথা পদ্মাবতীর কাছে গোপন করে ললিত। তাদের দু’জনের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিন্তু, বিবাহিত মেয়ের পর পুরুষের সঙ্গে প্রেম মেনে নিতে পারেনি পদ্মাবতীর পরিবার। অভিযোগ রয়েছে, সেই রাগে-ক্ষোভেই ললিতকে খুন করে পদ্মাবতীর বাবা অশ্বিনী গোপ, দদা ইন্দ্রজিত গোপ ও খুড়তুতো ভাই কমল গোপ।

এ বিষয়ে নিহত ললিতের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ললিতকে। এর পরই নিখোঁজ হয়ে যান ললিত। পরে রেললাইনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় ললিতকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয় চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031