২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের গুলিতে নিহত ২ জেলে

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের গুলিতে নিহত ২ জেলে

মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:মেঘনা নদীতে মাছ ধরার নিয়ে খেপ দখলকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের গুলিতে ২ জেলে নিহত হয়েছেন। এ সময় জলদস্যুদের গুলিতে গুলিবিদ্ধসহ ৮জন আহত হয়। এদিকে জলদস্যুদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠেছে নোয়াখালীর উপকূল। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সুবর্ণচর উপজেলার মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজারে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান কেফায়েত উল্যাসহ তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে উপকূলের বাসিন্দারা। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হোসেন টুটুল, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান খোকন, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রাজা মিয়াসহ পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে এই হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। গত বুধবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশে জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে গুলি চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। দস্যুদের গুলিতে নিহত আব্দুর রহমান (৪০) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের নাছির আহমদের ছেলে ও একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইসমাইল (৪২)। নিহত ২ জেলের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন, জিল্লুর রহমান (৩২) ও নুর আলম মিয়া (৩৫)। এদের মধ্যে জিল্লুর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভুলু মাঝির ছেলে ও মিয়া একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরতরাব আলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। অপহৃত জেলেরা হলেন, রাজু (১৩), জুয়েল (২৬), আব্দুর রহমান (২২), হোসেন (৪০), ইসমাইল (৪০)। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশ থেকে দীর্ঘ দিন থেকে মাছ শিকার আসছে। কিছু দিন আগে থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খেপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যার দিকে কেফায়েত বাহিনী ওই খেপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যায় ভুক্তভোগী জেলেরা। একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মহিউদ্দিনের সহযোগিতায় জেলেদের দুটি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুড়লে ২ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ৮জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২জনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় জলদস্যু বাহিনী ৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নিহত ২ জেলেকে কোস্টগার্ড জলদস্যু সাজানোর পায়তারা করে। এদিকে এই ঘটনায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30