১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ধোলাইখালে সংঘর্ষ: সালাম-নিপুণসহ বিএনপির ৪২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

Weekly Abhijug
প্রকাশিত জুলাই ৩০, ২০২৩
ধোলাইখালে সংঘর্ষ: সালাম-নিপুণসহ বিএনপির ৪২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

শনিবার রাজধানীর ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও ৩০০/৪০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে আব্দুস সালাম আজাদসহ পাঁচজন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। নিপুণ রায়সহ ১৯ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। গত রাতে সূত্রাপুর থানার এসআই নাসির উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আজ রোববার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন সূত্রাপুর থানার ওসি মঈনুল ইসলাম।

এর আগে শনিবার সকাল ১১টায় ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ শুরু করলে শুরু হয় দুপক্ষের সংঘর্ষ। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার ধোলাইখাল গোয়ালঘাট নাসির উদ্দিন সর্দার লেনের মনসুর মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন এবং যানচলাচলসহ সাধারণ জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে থাকেন।

বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী ও ইশরাক হোসেনদের অনুমতিবিহীন অবস্থান কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার অনুরোধ করে পুলিশ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার সময় নিপুণ রায় চৌধুরীর নির্দেশে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিসহ আশপাশে থেকে আসা অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে কিন্তু অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা বিশৃঙ্খলাকারী আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেলসহ সঙ্গে নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন।

একপর্যায়ে সূত্রাপুর থানায় কর্মরত এসআই মো. নাহিদুল ইসলামের ওপর প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও ইট-পাটকেল এলোপাতাড়িভাবে নিক্ষেপ করায় হেলমেট খুলে যায় এবং মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। সরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এপিসিসহ ঘটনাস্থলে থাকা আসামিদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা উচ্ছৃঙ্খল আসামিরা বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশের ওপর হিংস্র ও আক্রমণত্মাকভাবে চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল ও একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন এবং আশপাশের দোকান ও বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে দোকান ও বাড়িঘরের ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ সরকারি সম্পত্তি, জানমাল রক্ষার্থে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যদের ইস্যুকৃত অস্ত্র শর্টগানের কার্তুজ ও গ্যাসশেল নিক্ষেপ করে।

মামলার গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন, বিএনপির সক্রিয় কর্মী কবির, সোহাগ গাজী ও মো. রিয়াজ উদ্দিন রাজু।

পলাতক আসামিরা হলেন- পলাতক বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, বিএনপির সক্রিয় সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান, সূত্রাপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. জাবেদ কামাল রুবেল, সূত্রাপুর থানার নেতা মজিবুর রহমান, নুরুল আফসার ভূঁইয়া মাসুন, মনির হোসেন, মোখলেছুর রহমান, কাজী শাকিল আহম্মেদ, সৌরভ রাসেল, মো. কামরুল ইসলাম কামির, শাকিল আহমেদ ফয়সাল, হাসান খান প্রদীপ, শাহিন খন্দকার শাহিন, মানিক চন্দ্র দত্ত, মো. মনির হোসেন ব্যাপারী, সবুজ হোসেন ব্যাপারী ও আব্দুল কুদ্দুস মিয়া।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031