নওগাঁ: বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে শেখর আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনা প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়টি ৩টি ইউনিয়নের শেষ সিমানায় যমুনার নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় বিদ্যালয়ে ৩টি ইউনিয়ন থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ অত্যন্ত নারী লোভী, অবৈধ ক্ষমতা বিস্তারকারী এবং অর্থলোভী প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এবং বেশ কয়েকবার বিচারের মুখামুখি হয়েছিলেন সে। কিন্তু কিছু অদৃশ্য শক্তির কারণে ছাড় পেয়ে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. রিফাত আরার সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে অনৈতিক কার্যকলাপ করে। এ ঘটনার পরেও মানেজিং কমিটির নিকট অভিযোগ দেয়া হলে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
অভিযোগে আরো বলেন, স্কুলের মানেজিং কমিটিও একটি পুতুল কমিটি হিসেবে কাজ করে। এমতাবস্থায় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ এর সাথে সহকারী শিক্ষিকা মোছা. রিফাত আরার অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখর আহমেদ বলেন, আমি এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসাবে এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ দেখে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি ওই ২ শিক্ষকের উপযোক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) মোসা. রিফাত আরা তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যে দাবি করে বলেন, আমি খুব ভালো মানুষ। কে বা কাহারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন তা আমি জানি না। তবে ভিডিওর বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। তাই তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে আসেনি। হাতে এলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।