বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:চলমান গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় না থেকে আসন্ন স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব পদ্ধতিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে শেষ হওয়া একাডেমিক কাউন্সিলের ২৮ তম সভায় উপস্থিত সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে রাতে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক এক বিবৃতিতেও এ বিষয়টিকে সমর্থন করা হয়।
এতে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে অনুষ্ঠিত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাধারণ সভায়, আসন্ন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত (জিএসটি) বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির অনুসরণে না করে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে আসার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত হয়। উপরন্তু উক্ত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ( ৬ এপ্রিল) একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ তম একাডেমিক কাউন্সিলের টেবিল এজেন্ডা হিসেবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এই সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যানদের বৈঠকে আলোচনা করে। তৎপরবর্তীতে তাঁদের সমর্থনসহ একাডেমিকভাবে অনুমোদনের নিমিত্তে জরুরিভিত্তিতে উক্ত সভায় উত্থাপন করেন। শিক্ষকগণের সাধারণ সভায় গৃহীত উক্ত সিদ্ধান্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এবং সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত প্রস্তাবনাটি একাডেমিকভাবে সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়।
একই বিবৃতিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতিকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবান্ধব করার বদলে শিক্ষাক্ষেত্রে বরং অনেকক্ষেত্রে সংকট বাড়ানোর কথা জানিয়ে তারা অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানায়।
এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জবাবদিহিতা ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, সমন্বয়, অর্থিক স্বচ্ছতাসহ একাধিক অভাবের একাধিক কারণ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্যে পরিচালিত একটি অনলাইন জরিপ করা হয়। এতে ৯৭.৩ শতাংশ শিক্ষক পূর্বের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে মতামত দেন। এছাড়া ৩ শতাংশ শিক্ষক ব্যপক পরিবর্তন সাপেক্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে বলে মতামত দেন। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আয়োজিত এক সভায় বর্তমান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উক্ত জরিপের ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার বিষয়টি আমাদের শিক্ষকেরা চাইলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত । বিষয়টি আগে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি নাকচ করেন। আমরা আবারও একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি ও সংশ্লিষ্ট রিজেন্ট বোর্ডকে অবহিত করব।
প্রসঙ্গত, এরআগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি অনুযায়ী স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়।