রোজা শুরুর আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে যেসব বিষয়ে
শেখ তিতুমীর আকাশ : কয়েক দিন পরই শুরু হবে পবিত্র রমজান। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। যেহেতু সারা বছরের রুটিনের সঙ্গে মিল নেই, তাই সবটা সামলে উঠতে অনেকেরই সময় লেগে যায়। তাই অতিরিক্ত কাজের চাপে ইবাদতেও বিঘ্ন ঘটে অনেকের। তবে একটু কৌশল করে নিলেই পুরো রমজানে আপনি থাকতে পারবেন চাপমুক্ত। সময়ের কাজ শেষ হবে সময়েই। চলুন জেনে নেয়া যাক রোজার আগে কোন কোন প্রস্তুতি নিয়ে রাতে হবে
বাজার রমজানে দুই বেলা মূল খাবার–সন্ধ্যায় ইফতার ও ভোররাতে সেহরি। এই দুই বেলা খাবারের জন্য বাজার আগে করে রাখতে হবে। রোজা রাখার কারণে দিনের বেলা ক্লান্তি লাগাটা খুব স্বাভাবিক। তাই রোজা রেখে খুব বেশি কাজও করা সম্ভব হয় না। সে কারণে আগেভাগে বাজার করে রাখতে পারলে ভালো। এ জন্য রমজানে কোন খাবারগুলোর দরকার হবে, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। সে অনুযায়ী বাজার করে ফেলুন। এতে কষ্ট কম হবে এবং সময়ও বাঁচবে। তবে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত কেনাকাটা যেন না হয়।
গুছিয়ে রাখা
বাজার করা শেষ হলে গুছিয়ে রাখার পালা। কখন কোন খাবারটি প্রয়োজন হবে, সে অনুযায়ী গুছিয়ে রাখুন। যেন প্রয়োজনের সময় সব হাতের কাছে পাওয়া যায়। এলোমেলোভাবে রাখলে পরবর্তী সময়ে আপনারই কষ্ট হবে খুঁজে বের করতে। তাই বাজার করার পর তা গুছিয়ে রাখাও জরুরি। কিছু জিনিস থাকে যেগুলো দ্রুত নষ্ট হতে পারে, সেগুলোও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিষ্কার করা
পরিষ্কার করা একটি বড় কাজ। যদিও আমরা তা বুঝতে পারি না। সুস্থ থাকার জন্য সবকিছুর পরিচ্ছন্নতা জরুরি। রোজা রেখে বাড়িঘর, কাপড় ইত্যাদি পরিষ্কার করতে কষ্ট বেশি হতে পারে। তাই আগেভাগে পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো সেরে নিন। যে জিনিসগুলো রোজার মাসে বেশি প্রয়োজন হবে, সেগুলো পরিষ্কার করে রাখুন। সবকিছু পরিষ্কার থাকলে আপনার মনও সতেজ থাকবে। ইবাদতে মন দেয়া সহজ হবে। কাজ এগিয়ে রাখা
ইফতারে নানা রকম খাবার খাওয়া হয়। এ জন্য কিছু কাজ আগেই এগিয়ে রাখতে পারেন। যেমন, বিভিন্ন ফ্রোজেন আইটেম তৈরি করে রাখতে পারেন ইফতারের জন্য। শরবতের জন্য সিরাপ তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে ইফতারের সময় তাড়াহুড়ো করতে হবে না। খুব সহজেই কাজ শেষ করতে পারবেন। এতে আপনার কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। রমজানেও আপনি থাকতে পারবেন চাপমুক্ত।
শিশুর জন্য
শিশুরা তো বড়দের মতো নয়। তাদের জন্য রোজা রাখার বাধ্যবাধকতাও নেই। তাই রমজান মাসেও শিশুর খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়। আপনি রোজা রাখছেন বলে শিশুর খাবারের প্রতি উদাসীন হবেন না। এতে সে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। শিশু রোজায় কী খাবে, তা আগেভাগেই চিন্তা করে রাখুন। সে অনুযায়ী বাজার করা এবং তার খাবারগুলো গুছিয়ে রাখার কাজটিও আগে সেরে নিতে পারেন। রোগীদের জন্য আগে থেকে ভাবুন
অনেক সময় রোগীরা চাইলেও রোজা রাখতে পারেন না। তাই পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। সে অনুযায়ী আগে থেকে সব কাজ গুছিয়ে রাখুন।