মোঃ শফিকুল ইসলাম সবুজ (টাঙ্গাইল): নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। একটি ছিলো ভারত অপরটি ছিলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের ছিলো দুটি অংশ। সেসময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী উর্দু’কে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রয়াস চালায়। সেসময় তৎকালীন পূর্ব বাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের আপামর জনগণ তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। শুরু হয় উর্দু ভাষা প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। এক পর্যায়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাভাষী ছাত্র ও আপামর জনগণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে এক তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার জনগণ। দাবী একটাই রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাক হানাদার বাহিনী দমন-পীড়ন শুরু করে, শুরু করে গোলাবর্ষণ। এসময় শহীদ হন সালাম, জব্বার, বরকত সহ নাম না জানা অনেকে।দিবসটি উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়।শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন টাংগাইল -৬ ( নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যঃ আহসানুল ইসলাম টিটু, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ,নাগরপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবীর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা বেগম শিপ্রা,কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন বিশ্বাস, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ। আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।