
মাহবুব আলমঃ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ ঘটনার বর্ননায় দূর্জয় আরো বলেন ” আমার সাথে আমার
পূর্ব পরিচিত মেয়ের বাসায় জোড় করে নিয়ে গিয়ে তার সাথে আমার দূর্নাম রটানো অপকৌশল অবলম্বন করে কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সেই বাসায় পূর্ব থেকে আমার মা অবস্থান করায় তাদের অকৌশল বিফলে যায়। তারপরও সেই মেয়ের ঘরে জোড় করে প্রবেশ করে মোবাইলে ভিডিও রেকডিং চালু করে মেয়েকে দিয়ে বলাতে চায় আমার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে মেয়েটি এসব বলতে অস্বীকার করলে মেয়েটিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে এমনকি মেয়েটির ইজ্জতহানীর ও হুমকি দেয়”।
এ বিষয়ে তন্নী নামক মেয়েটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান দূর্জয়ের পরিবারের সাথে আমার পরিচয় পূর্ব থেকে। বুধবার হঠাৎ দূর্জয়ের মা আমার বাসায় এসে বলে আমার ছেলে নাকি তোমার বাসায় বিপদে আছে তখন আমি বলি এমনতো কিছু ঘটেনি। ঠিক তার কিছু সময় পরে কিছু লোক আমার বাসায় জোর করে ঢুকে আমার রুমে আমার অনুমতি ছাড়ায় ভিডিও রেকডিং চালু অবস্থায় প্রবেশ করে আমাকে হুমকি দিয়ে বলতে বলে দূর্জয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে এবং ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর করা হয়েছে এটা বলতে বলে, ঘটনাটি এমন আকস্মিক ভাবে ঘটে যা আমি কোন কিছু বুঝে উঠতে পারিনা, তারা আমাকে হুমকি ধামকি দেয় এমনকি আমাকে লাঞ্ছিত করবে ধর্ষন করবে বলেও হুমকি দেয়। আমি এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না সংবাদ চলমানের সাংবাদিক সহ সম্পাদক ইমদাদুল হক কেনো আমার সাথে এমন করেছে “। তারা আমার ভিডিও ডিলিট করেছে কি না বা সেই ভিডিও নিয়ে কি করবে সেটাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না”।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয় নিয়ে দূর্জয় আরো বলেন সংবাদ চলমানে কাজ করতে গিয়ে দেখি তারা সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, মাস্তানী, মানুষকে হয়রানি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। দূর্জয় সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে গিয়ে সংবাদ চলমানের অনেক অপকর্মের দিক তুলে ধরে, তার মধ্যে এমদাদের বিভিন্ন অপকর্মের কথা বের হয়। সংবাদ চলমানে কাজ করে সকল স্টাফদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় এমনকি মহিলা স্টাফদেরকে ইমদাদুল কুপ্রস্তাব দেয় সে বিষয়েও সে অবগত হয়। ইমদাদের অপকর্ম দেখে আমি স্বেচ্ছায় তার চাকরি ছেড়ে দিলে সে আমাকে দমিয়ে রাখতে এবং আমার ও আমারই বান্ধবী ও সহকর্মী সাংবাদিক জুলেখাকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। যার প্রতিবাদ করলে কয়েকঘন্টা পরে পোর্টাল থেকে নিউজ টা ডিলিট করলেও অনেককের কাছে স্কিনশর্ট কপি এমনকি রাফিকুর রহমান লালুর আইডিতে শিরোনাম সহ আমার ছবি থেকে যায় যার জন্য আমি সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এতে আমার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা কষ্ট কর হচ্ছে।
এদিকে দূর্জয়ের দেওয়া তথ্যে জানা যায় সাংবাদিক ইমদাদুল হক একজন দূর্ধষ মাস্তান প্রকৃতির তার সংবাদ চলমান অফিসে তার টেবিলের পাশে দেশীয় অস্ত্র সবসময় রাখা থাকে। সংবাদ প্রকাশের নামে ভুক্তভোগীদের কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন/ সুপারিশ করার কথা বলে প্রতারণা করে। সে এমন ভাবে কথা বলে তাতে মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার যাতায়াত ও সুপারিশ করা তার হাতের মুঠোয়। প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তারা তার কথায় উঠে বসে এসব ফাঁপর দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। দূর্জয়ের দাবি সংবাদ চলমানে সঠিক ভাবে অনুসন্ধান করলে ইমদাদের বহু অপকর্মের ঘটনা বের হবে। তার অন্যতম প্রতারণা সংবাদ চলমান একটা অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিন্তু ইমদাদ ইদানিং সংবাদ চলমান নামের সাথে টিভি শব্দ লাগিয়ে সংবাদ চলমান টিভি লিখে মানুষকে প্রতারিত করছে। আর সে যদি ভালো মানুষ হবে তাহলে তার অফিসে কেনো কোন স্টাফ বেশিদিন কাজ করতে পারে না।
তবে সংবাদ চলমান ও সাংবাদিক ইমদাদের অপকর্মের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজে বিরুপ পতিক্রয়া দেখা দিয়েছে।