আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
প্রবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বন্দর নগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা।দোকানপাট বন্ধ, নেই যানবাহনের চাপ,নেই যানজটের ভোগান্তি, নেই ট্রাফিক জ্যাম, নেই ল্যান্ড ডেভলপারের কংক্রিটের আওয়াজ, সড়ক মহা সড়কে অল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়।দেখে যেন মনে হয় এক শান্তিপূর্ণ নগরী।
১২ আগস্ট মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্টান প্রবিত্র ঈদুল আদহা হওয়ায় দুই তিন দিন আগে থেকে লোকজন ঈদ উদযাপনে নগরী ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যেতে শুরু করে।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সিটি গেইটে লোকেল কিছুসংখ্যক গাড়ী চলাচল করতে দেখা গেলেও আন্তঃনগর গাড়ী তেমন পরিলক্ষিত হয়নি।অপরদিকে নতুনব্রীজ, মইজ্যারটেক চকবাজার, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, কোতোয়ালি, জিইসি, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, টাইগারপাস, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে লোক ফাঁকা দেখা গেছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা ও নগন্য।গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্বল্প সংখ্যক গাড়ি চলাচল করলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যানবাহনের চাপ নেই, যানজটের যন্ত্রণাও নেই। এ যেন কোলাহলমুক্ত নগর।
বুধবার (১৪ আগস্ট) নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার,আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, কোতোয়ালি, জিইসি, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, টাইগারপাস, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে লোক জনে আনাগোনা নেই।
নগরীতে অপেশাদার বা মৌসুমি ড্রাইভারের দৌরাত্মে যাত্রীদের অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হচ্ছে।যাত্রীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমি ড্রাইভারেরা যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ সেলামী বলে অতিরিক্ত দুই তিন গুণ বেশী ভাড়া দাবী করার অভিযোগ করেন। জানতে চাইলে সেভেন মার্কেটে জনৈক রিক্সার ড্রাইভার বলেন, ঈদে আমাদের ও অতিরিক্ত খরচ আছে আমরা তো বোনাস পায়না সেজন্য যাত্রীরা খুশি করে দেয়না বিধায় ঈদ সেলামী কিছু নিচ্ছি। বিশ্ব ব্যাংক আবাসিক এলাকা নিবাসী স্কুল শিক্ষক শামসুদ দীন বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ার ভয়ে তিনি বেড়াতে যেতে ও ভয় পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আবাসিক এলাকায় ভারি যান চলাচলের জন্যে আবাসিক এলাকা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়েছে।
আবাসিক এলাকায় ভারী যান চলাচলে সরকারের কঠোর হওয়া প্রসঙ্গে, স্থানীয় সমাজ সেবক মোঃ মিরাজ বলেন, বিশ্ব ব্যাংক আবাসিক দিয়ে এখন প্রতিনিয়তই গাড়ির আওয়াজে ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন ঈদের ছুটি তাই এলাকা গাড়ির শব্দ দোষণমুক্ত।