আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
চ্যালেঞ্জ ছিল বিকাল ৫টার মধ্যেই প্রধান সড়ক থেকে বর্জ্য অপসারণ করার। ঈদের দিন দুপুর ৩টার দিকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের পরিদর্শনে বের হয়ে মেয়র দেখেন নির্ধারিত ময়লার স্তূপ ছাড়া কোনো রাস্তায় নেই বর্জ্য। এসময় মেয়র বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে ঈদের নামাজ শেষে নগরে শুরু হয় পশু কোরবানি দেওয়া। চসিকের দেওয়া ৩৪১টি নির্ধারিত স্থানের বাইরে যত্রতত্র পশু কোরবানির করায় কঠিন ছিল প্রতিশ্রুত ৫টার আগে নগর পরিষ্কার করার অঙ্গীকার। কিন্তু সে কঠিন কাজটাই করে দেখিয়েছে চসিক।
পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচলনা করতে নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে চারটি সেলে ভাগ করে ৪ জন কাউন্সিলরের দায়িত্বে কাজ চলছে। আমরা দেখেছি নির্ধারিত সময়ের আগে নগরের প্রধান সড়ক থকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আর অলিতে-গলিতে রাত আটটার আগে সকল বর্জ্য অপসারণ করব।
এসময় মেয়র ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে বলেন।
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য চার হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করছে। এরমধ্যেই প্রধান সড়ক থেকে বর্জ্য সরানো শেষ। ৩০০টি গাড়ি বর্জ্য পরিবহনে কাজ করছে। প্রায় সাত হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে।
মেয়র আলমাস সিনেমা হলের মোড় থেকে কাজীর দেউড়ি হয়ে লাভ লেইন মোড় এলাকা, নিউমার্কেট, সদরঘাট , আলকরন হয়ে আন্দরকিল্লা এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষ করেন।
এসময় তিনি সড়কের ডাস্টবিনগুলোতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিয়োজিতদের দিকনির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. হোসেন হিরন, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকিসহ সংশ্লিষ্টরা।