অভিযোগ অনলাইনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
তবে, ছাত্রলীগ মারধর ও পুলিশে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ছাত্রদল বলছে ক্যাম্পাসে প্রবেশে তাদের কোনো নির্দেশনা ছিল না।
জানা যায়, সকাল থেকেই বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গণতন্ত্র তোরণ ও নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হল হল ও স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে অপরিচিত যেকাউকেই তল্লাশি চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সন্দেহভাজন মনে হলেই মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা।
এ প্রসঙ্গে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির সমাবশকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে এলে আমরা তাদের প্রতিহত করি। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ১০-১৫ জনকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিই এবং যাদের দেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের ধাওয়া দিই। কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম যাতে না চলে সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’
সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, ‘তাদের ফেসবুক দেখে আমরা তাদের ছাত্রদলের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাই। কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে মারধরও করে। ক্যাম্পাসকে স্থিতিশীল রাখতে ছাত্রলীগ বদ্ধ পরিকর।’
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের অপ্রচেষ্টা করলে আমরা প্রায় ২০ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিই।’
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এখানেই আমরা অবস্থান করছি। কোনো নেতাকর্মীকে আজ ক্যাম্পাসে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ঢাবি ছাত্রদলের কারো এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা না।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশে তাদের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না কিনা বা অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। অপরাধের কোনো তথ্য না পেলে ছেড়ে দেব।’