২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রাথমিকে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ চান চাকরিপ্রার্থীরা

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০২২
প্রাথমিকে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ চান চাকরিপ্রার্থীরা

 

মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চলমান নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা।

৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। এরপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০-এর অনুমোদিত পদসংখ্যা ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও চলতি বছরের মার্চে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে আমরা যখন চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায়, তখন আবার বলা হচ্ছে, বেশি প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে না। এটা বেকারদের সঙ্গে অন্যায়। বক্তারা বলেন, প্রাথমিকে বিগত নিয়োগগুলোতে ৩ জনে একজন নিয়োগ হয়েছে। আমরা চাই এবারও সেই নিয়ম বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো বৈষম্য যেনো না হয়।চাকরিপ্রার্থীদের মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাইফুল ইসলাম, আইমান তাওফিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। চাকরিপ্রার্থীদের উত্থাপিত ৭ দফা দাবিগুলো হলো
১. শূন্যপদের বিপরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ প্রদান। ২. বিদায়ী সচিব স্যার বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকার দিয়ে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেন কিন্তু বর্তমানে আবার ৩২ হাজার ৫৭৭ জন নিয়োগ দিতে চাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ৩. মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ৪৫ হাজার নিয়োগের কথা বলেন যা সময় নিউজ এবং ডিবিসি নিউজে প্রকাশিত হয়। ৪. প্রাথমিকের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী প্রতি তিন জনে ১ জন নিয়োগ দেয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজারের মত প্রার্থী ভাইভার জন্য বাছাই করা হয়। কিন্তু ৩২ হাজার ৫৭৭ জন নিয়োগ দিলে তা হবে প্রতি ৫ জনে ১ জন। ৫. সার্কুলারের ৯ নং এ উল্লেখ ছিল সকল শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ হবে। বর্তমানে শূন্যপদ ৬০ হাজারের বেশি। ৬. ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১ শিফটে চলবে বলে আমরা বিদায়ী সচিব থেকে জানতে পারি। সেক্ষেত্রে পাঠদানের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগের প্রয়োজন। ফলে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ হলে প্রাথমিকের পাঠদান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। ৭. বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উপর যে গুরুত্ব দিয়েছে সেটির বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ অতীব জরুরি। এর ফলে প্রাথমিকে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2023
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930