২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

অবশেষে কক্সবাজারে আটক যুবকই ‘ইকবাল’- বললেন কুমিল্লার এসপি

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২১
অবশেষে কক্সবাজারে আটক যুবকই ‘ইকবাল’- বললেন কুমিল্লার এসপি
অবশেষে কক্সবাজারে আটক যুবকই ‘ইকবাল’- বললেন কুমিল্লার এসপি
প্রধান প্রতিবেদক শেখ তিতুমীর  :- কুমিল্লার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে আটক যুবকই সেই ইকবাল বলে দাবি করেছেন  কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ।

আজ শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকালে এই দাবি করেন তিনি।

ফারুক আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে যে যুবককে আটক করা হয়েছে সে-ই কুমিল্লার ইকবাল হোসেন। আমাদের একটি দল তাকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে পরে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ফারুক আহমেদ আরো বলেন, কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘিরপাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন রেখেছিলেন দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্করপুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। মণ্ডপের আশপাশসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে আটক করা হয় ‘ইকবালকে’। আজ শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে কক্সবাজার পুলিশ জানায়, কুমিল্লায় ভিডিও ফুটেজে দেখা ওই ব্যক্তিই আটক ব্যক্তি। তবে কুমিল্লা পুলিশ সেটি নিশ্চিত করবে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে সৈকত এলাকা থেকে ইকবাল হোসেনকে আটকের পর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রাখা হয়। ভোরে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল কক্সবাজার পৌঁছালে তাকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইকবালকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়েছে পুলিশ।

পুলিশের ধারণা, এই তরুণ কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননাকারী সেই ইকবাল। তবে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তার পরিচয় যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।

গত ১৩ অক্টোবর মহাষ্টমীর দিন কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পারে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়া যায়। পরে একদল লোক কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর চালায়। ওই ঘটনার পর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপ-মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেখানে মারা যায় পাঁচজন। এরপর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চৌমুহনীতে মারা যায় দুজন।

গত বুধবার রাতে কুমিল্লার ঘটনার ‘প্রধান সন্দেহভাজনকে’  চিহ্নিত করার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এই ঘটনার অগ্রগতি হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ঘটনার আগের ১২ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত মন্দিরে লোকজনের উপস্থিতি ছিল। পরদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুজন নারীভক্ত মণ্ডপে এসে হনুমানের মূর্তির ওপর প্রথম কোরআন শরিফ দেখতে পান। রাত আড়াইটা থেকে সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে কোনো একসময় সেখানে কোরআন রেখে যাওয়া হয়েছে। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি নিয়ে যান ওই ব্যক্তি।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031