এম আকাশ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
মানুষ হয়ে মানুষ হত্যা কি সভ্য জগতের নিয়ম হতে পারে? বাংলার শান্ত মানুষ গুলোও যে দিন দিন অসভ্য হয়ে যাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না চলমান প্রেক্ষাপটে। ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, পিতার হাতে সন্তানের, স্বামীর পরকিয়াতেও বলি হচ্ছে গৃহপালিত প্রাণী নামক খ্যাত অসহায় স্ত্রীরা। কোনো কোনো সময় সামান্য স্বার্থের জন্য খুন করা হচ্ছে বন্ধু নামক এক মধুর সম্পর্কের। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভালো মানুষ দেখতে এই যোদ্ধা জাতীকে যে কয়েক দশক পরে জাদুঘরে যেতে হবে এমন চিন্তা করা অসম্ভব কিছুই না। বাংলাদেশের দক্ষিণে হিংস্র বাঘের বসবাস,ঠিক তেমনি হিংস্র এখানের মানুষ গুলো। সাতক্ষীরা জেলাটি দিন দিন অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে,সেটি আমারও প্রমান রেখে চলে যেতে হলো এক তরুন কে, চোখে যেনো তার লেগে আছে আগামীর বাংলাদেশের না বলা কিছু স্বপ্ন। সাতক্ষীরার সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি এলাকায় একটি পাটক্ষেতে গলায় ফাঁস লাগানো আলামগীর হোসেন আলম (৩৫) নামে এক ব্যাক্তি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের পাটক্ষেতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। নিহত আলমগীর হোসেন আলম গোবিন্দকাটি গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি ছিলেন সাতক্ষীরার সংগ্রাম পরিবহনের সুপারভাইসর। ঘটনাস্থল থেকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, তার দেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ণ পাওয়া গেছে। কে বা কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গোবিন্দকাটির একটি পাটক্ষেত থেকে আলমগীর হোসেনের মরদেহটি উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।