৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শ্রমিক নিহতের অন্যতম এক ট্র্যাজেডি রানা প্লাজাধস

অভিযোগ
প্রকাশিত এপ্রিল ২৪, ২০২১
শ্রমিক নিহতের অন্যতম এক ট্র্যাজেডি রানা প্লাজাধস

শ্রমিক নিহতের অন্যতম এক ট্র্যাজেডি রানা প্লাজাধস

 

 

শামীম ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ-

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল; সেদিন ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের অন্যতম এক ট্র্যাজেডি। ধসে পড়েছিল বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা নিয়ে গড়ে ওঠা ভবন রানা প্লাজা। সেই দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় এক হাজার ১৩৬টি তরতাজা প্রাণ। আহত হন আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় ওই সময় মামলা করা হয়। তবে এত প্রাণহানির পেছনে দায় যাদের, তাদের বিচার শেষ হয়নি আট বছরেও।

সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে নাগরিক জীবন থেকে হারিয়ে যায় অনেক ঘটনা। সেই ধারায় রানা প্লাজা ধসের ঘটনাও আজ অনেকটাই বিলীন। প্রতি বছর সেই ভয়াল দিনটিতে ঘটনার কথা স্মরণ করলেও, স্মরণ করা হয় না সেই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের।

বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে করোনা মহামারিতে অনেকেই অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এই ৮ বছরেও যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি, অনেকেরই হয়নি কর্মসংস্থান। যাদের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত হয়নি।

ভবন ধসের ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সারাদেশে শ্রমিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করলেও।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছর এবং এই বছর সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।

রানা প্লাজার পাশে সরেজমিনে লোকজনের সাথে কথা বলে দেখা যায়। সেদিনের সেই ট্র্যাজেডি কথা। কাঁন্নায় ভাসিয়ে ফেলেন বণনা দিতে গিয়ে সেদিনের লাশের মিছিল ও সজন দের আহাজারির কথা।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় আহত- পঙ্গু হয়েছেন অনেক পোশাক শ্রমিক। তাদের সমাজে বেঁচে থাকার মতো দেওয়া হয়নি কোন রকম সহায়তা। তাই আজ তারা জীবন বাঁচতে রাস্তায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে। যায় পায় তা দিয়ে সংসার ও পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়। এমন টাই বলেন রানাপ্লাজার খতিগ্রস্ত পোশাক শ্রমিক।

তাদের সুখের মুখে এই কষ্টের ভিখাবৃত্তি যাদের কারনে তাদের বিচার হয় ৮ বছরেও। করনার মহামারীতে নেই কোন সমাবেশ নেই কোন আত্মীয় সজন এর কোলহল এই রানাপ্লাজা স্থানে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031