২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পদ্মা সেতু’র ৬ কিলোমিটার অবকাঠামো দৃশ্যমান,স্বপ্ন পুরনে বাকি একটি স্প্যান স্থাপন

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৫, ২০২০
পদ্মা সেতু’র ৬ কিলোমিটার অবকাঠামো দৃশ্যমান,স্বপ্ন পুরনে বাকি একটি স্প্যান স্থাপন

পদ্মা সেতু’র ৬ কিলোমিটার অবকাঠামো দৃশ্যমান,স্বপ্ন পুরনে বাকি একটি স্প্যান স্থাপন

 

ফৌজি হাসান খাঁন রিকু,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

পদ্মা সেতুর ৪০ তম স্প্যান স্থাপনের মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে ৬ কিলোমিটার অবকাঠামো।

শুক্রবার সকাল ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের মাঝ নদীতে সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটির উপর বসানো হয় স্প্যানটি। ৩৯ তম স্প্যান বসানোর ৭ দিনের মাথায় বসানো হলো ৪০ তম স্প্যানটি। ৬.১৫ কিলোমিটারের মূল সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকি রইলো আর মাত্র ১ টি স্প্যান। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যরে স্প্যানটি ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই তে বহন করে নির্ধারিত খুঁটির কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছিলো। বাকি ছিলো শুধু স্প্যানটি খুঁটির উপরে বসানোর কাজ।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্প্যানটি নির্ধারিত খুঁটির উপরে তোলার কাজ শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে নির্ধারিত খুঁটির উপর বসানো হয় ভূমিকম্প সহনশীল বিয়ারিং।স্প্যানটি স্থাপনের পুরো কাজ শেষ করতে সময় লাগে ২ ঘন্টার মত।

৪০ তম স্প্যানটি বসে যাওয়ায় এখন ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে সেতুর সর্বশেষ ৪১ তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের।

আগামী ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের মধ্যে বাকি থাকা স্প্যানটি বসানো হতে পারে ।

এদিকে স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এরমধ্যে সেতুতে ১৮শতাধিক রেলওয়ে ও ১২শতাধিক রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৪০ টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৬ কিলোমিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।

সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30