শরনখোলার লোকালয় থেকে অজগর উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত।
সাব্বির হোসেন,শরনখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার লোকালয় থেকে ৩০ নভেম্বর (সোমবার) বিকেলে আট ফুট লম্বা একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত এগারো মাসে ৩৬টি অজগর উদ্ধার করে সুন্দরবন শরণখোলা ফরেস্ট রেঞ্জ এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র মতে, শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হকের বাড়ির সামনে থেকে অজগর সাপটি উদ্ধার করে বন বিভাগ ও ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যরা।
পরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে অজগরটিকে অবমুক্ত করা হয়। অজগরটির ওজন ১২ কিলোগ্রাম ও দৈর্ঘ্য আট ফুট।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, ওয়াইল্ড টিমের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মো. আলম হাওলাদার, ভিটিআরটি সদস্য মো. হাচান মুন্সী, সাগরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এ বছরের মার্চে ১৩ ফুট লম্বা ও ২৫ কিলোগ্রাম ওজনের সাপ উদ্ধার করা হয়।
২০১৯ সালে শরণখোলায় ৮০ কেজি ওজনের একটি বিরাটকার অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছিলো যার দৈর্ঘ্য ছিলো ১৮ ফুট। এরকম একটা সাপ অনায়েসে মানুষ খেয়ে ফেলতে পারে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, ওয়াইল্ড টিমের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মো. আলম হাওলাদার, ভিটিআরটি সদস্য মো. হাচান মুন্সী, সাগরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াইল্ড টিমের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মো. আলম হাওলাদার বলেন, ‘‘ অনেক সময় অজগর সাপ দেখতে পেয়ে স্থানীয় অনেকে ভীত হয়ে সাপ মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তবে অনেক সচেতন নাগরিক ফোন দিলে আমাদের টিম এসব অজগর উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করি।”
শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বন বিভাগ ও ভিটিআরটির সদস্যরা বিভিন্ন সময় অজগর উদ্ধার করে।”
বন ও পরিবেশ নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করা শরণখোলার স্থানীয় সাংবাদিক মো. শাহীন হাওলাদার বলেন, “করোনাকালীন সময়ে পর্যটক এক্সেস বন্ধ থাকায় সুন্দরবন তার স্বরূপ ফিরে পায়। ফলে অন্যান্য প্রণীর মতো অজগর সাপের প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া খাদ্য স্বল্পতার কারণে সাপ বার বার লোকালয়ে চলে আসে।