৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে এতিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ সরকারি বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা!

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ৮, ২০২০
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে এতিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ সরকারি বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা!

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে এতিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ সরকারি বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা!

 

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সুচিপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের শোরসাক গ্রামে “শোরসাক ইসলামীয়া নূরানী ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এতিমখানা”র খেলার মাঠ ও স্থানীয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঈদগাহের পাশে খোলা নালা ও এলাকায় সরকারি খাস সম্পত্তি পড়ে থাকা স্বত্বেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য এলাকাবাসীর দান করা টাকায় নতুনভাবে ভরাট করা মাঠের বর্ধিত অংশে সরকারি বরাদ্দ দেয়া মানতে নারাজ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।

শত বছরের এই ঈদগাহ ও খেলার মাঠ প্রত্যন্ত এই এলাকার ঐতিহ্য। মাদ্রাসার পিতা-মাতাহীন এতিম শিশুদের খেলাধুলার জন্য গতবছর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায়‌ মাঠটি ভরাট করে বর্ধিত করা হয়।

হঠাৎ সেখানে বসতি গড়ে উঠলে তা এলাকার জন্যে শোভনীয় হবে না পাশাপাশি পিতা-মাতা হীন কোমলমতি শিশুরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে মর্মে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় মেম্বার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি আবেদন করেছেন।

চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৩১১নং দাগে সরকারী ভূমি তাদের অর্থে ও স্বার্থে বহু টাকা খরচ করে ঈদগাহ এবং মাদ্রাসার জন্য ডোবা ভরাট করে ব্যবহার করছেন।

এই ঈদগাহে প্রায় দশ হাজার লোকের জামায়াত হয়ে থাকে। এই মাঠে মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুদের জাতীয় সংগীত, রোজ বিকেলে খেলাধুলা, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

এখানে যদি ২৩১১ দাগের ভূমিতে ঘর বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া হয়ে থাকলে মাদ্রাসার প্রায় পাঁচ শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ক্ষতি সাধন হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।

এলাকাবাসী আরো উল্লেখ করেছেন, ২৩১১ দাগের পরিবর্তে ২৩৫৪ বা ২৩৮২ দাগে সরকারের খাস খতিয়ানে সম্পত্তি রয়েছে। সেখানে ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে। সেই সাথে এলাকার এতিমখানার শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমের কোন ক্ষতি হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, ঈদগাহে গৃহ নির্মাণের বিষয়টি আমি জেনেছি। কিন্তু এখানে আমার কোন হাত নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভালো জানেন।

সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের তহসিলদার আব্দুল করিম ভূঁইয়া মুঠোফোনে বলেন, যা সিদ্ধান্ত হচ্ছে তা আমাদের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন।

কিন্তু এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের তহসিলদার মোটা টাকার বিনিময়ে স্থানীয় কিছু সুবিধাভোগীদের রাস্তার পাশের লোভনীয় এই জায়গাটি সরকারি বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানতে চাইলে রোববার সন্ধ্যায় শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মিরা মুঠোফোনে বলেন, শোরসাকে ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের বিষয়ে জায়গা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031