২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈশ্বরদী থানার এস আই আতিকুল ইসলামের রক্তে ফিরে পেলো একটি শিশুর প্রাণ

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ৫, ২০২০
ঈশ্বরদী থানার এস আই আতিকুল ইসলামের রক্তে ফিরে পেলো একটি শিশুর প্রাণ

ঈশ্বরদী থানার এস আই আতিকুল ইসলামের রক্তে ফিরে পেলো একটি শিশুর প্রাণ

 

 

 

মো: ইয়াছিন শেখ,ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ-

আমি বাঁচাতে চাই একটি প্রাণ তাইতো করবো রক্ত দান এই প্রত‍্যয় নিয়ে শত বেস্ততার মধ্যেও একটি ৯ বছরের শিশুকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন এম মানবিক পুলিশ ঈশ্বরদী থানার এস আই আতিকুল ইসলাম।

 

 

ঈশ্বরদী থানা ধীন মুলাডুলি ইউনিয়নের সরাইকান্দি – কারিগর পাড়া গ্রামের, মো : সিয়াম ৯ পিতা : সোনা ইসলাম, সিয়াম গত কয়েক বছর ধরে ঠান্ডা যনিত টনছিলে আকরান্ত ছিল পরে তার শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়া কারণে তাকে ঈশ্বরদী রুপোশী বাংলা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

 

তার অপারেশনের জন্য জরুরি রক্তের প্রয়োজন। তার ডাকে সারা দেন এক মানবিক পুলিশ সদস্য এস আই আতিকুল ইসলাম।

 

 

পরে পুলিশ সদস্য আতিকুল ইসলাম বলেন স্বেচছায় একজন ব্যক্তির প্রয়োজনে রক্ত দেয়া একটি মহত কাজ। সচেতনতার অভাবে এবং কিছু ভুল ধারণার কারণে আমরা অনেকেই রক্তদানের মতো দুর্লভ সুযোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছি প্রতিনিয়ত।

 

অথচ সুস্থ্য প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে আমরা প্রতি ১২০ দিন পর কোন রকম শারীরিক ক্ষতি ছাড়াই রক্ত দিয়ে একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পারি।

 

নিয়মিত ব্যবধানে কেটে ফেলা চুল-নখ যেমন আমাদের কাজে লাগে না, তেমনি নিয়মিত ব্যবধানে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকণিকাও আমাদের শরীরে কোন কাজে আসেনা। অথচ এই রক্ত অন্যকে দিলে তার জন্য তা হতে পারে অমূল্য।

 

 

একবার রক্ত দিয়েই দেখুন কতো ভালো লাগে নিজের কাছে, কতোটা মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়। রক্ত দিয়ে এবং এ তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করে যারা আমার এ উদ্যোগে সামিল হয়েছেন তাদের প্রতি আমার অসীম কৃতজ্ঞতা। আমি চাই শুধুমাত্র রক্তের অভাবে কেউ যেন মারা না যায়।

 

 

আমি প্রতিবারের মতো এবার  এই নিয়ে ৭ম বার সেচ্ছায় রক্ত দান করলাম। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন এভাবেই মানুষের জীবন বাচাতে এগিয়ে আসতে পারি সর্ব খন আপনাদের পাশে আছি একজন পুলিশ সদস্য না হয়ে সাধারণ মানুষ হিসাবে আপনাদের মাঝে বেচে থাকতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031