মোঃ রুহুল আমিন,স্টাফ রিপোর্টার (নীলফামারী):
নীলফামারীর ডিমলা তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার (২৪-সেপ্টেম্বর) বেলা ৯টা থেকে ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিম ছাতনাই, গয়াবাড়ীর একাংশে তিস্তার ভাটিতে জলঢাকার ৩টি ইউনিয়নসহ ১৫টি গ্রামের সাত হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে সন্ধ্যা ‘ছয়’ টায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করে। রাত ‘নয়’ টায় আরও বৃদ্ধি পেয়ে ‘কুঁড়ি’ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বেলা ‘তিন’ টার দিকে সেখানে বিপদসীমার ‘১৩’ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সন্ধ্যা ‘৬’ টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং রাত ৯টায় আরও ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় আমার ইউনিয়নের প্রায় সাত থেকে আটটি গ্রাম বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এসব গ্রামের পরিবারগুলোকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে এবং সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে যা যা প্রয়োজন হয় আমরা তার ব্যবস্থা করতেছি।