২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটের রাজপথে বঞ্চিত আওয়ামী লীগের ব্যানারে ওরা কারা : এনিয়ে কিছু কথা

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
সিলেটের রাজপথে বঞ্চিত আওয়ামী লীগের ব্যানারে ওরা কারা : এনিয়ে কিছু কথা

সিলেটের রাজপথে বঞ্চিত আওয়ামী লীগের ব্যানারে ওরা কারা : এনিয়ে কিছু কথা

 

 

 

কবির উদ্দিন : আজ শনিবার বঞ্চিত আওয়ামী লীগের ব্যানারে জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির বিরুদ্ধে যে বা যারা মিছিল করেছেন তারা কেউই সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। প্রতিবাদ মিছিলের সম্মূখ সারিতে যারা ছিলেন তারা মহানগর হকার্স লীগ বা শ্রমিক লীগের কর্মী বলে মনে হচ্ছে।

 

তাদের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য এসেছে সে বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে “সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক পরিচয় দানকারী এম শাহরিয়ার কবির সেলিম এর পক্ষে বলা হচ্ছে এম শাহরিয়ার কবির সেলিম কে কোন পদ পদবী দেয়া হয়নি।

 

তিনি সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এটা সুকৌশলে গোপন করে বক্তারা বলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি এবং এম শাহরিয়ার কবির সেলিমের বাড়ি একই উপজেলায় হওয়ায় তাকে নাকি পদ বঞ্চিত করা হয়েছে।

 

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক কে জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে রাখা হয়েছে।

 

এম শাহরিয়ার কবির সেলিম সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি।

 

তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে মহা নগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এটাই যুক্তিযুক্ত।

 

এম শাহরিয়ার কবির সেলিম বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় তাকে প্রতিদ্বন্ধি ভেবে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে সাধারণ সম্পাদক কে যে দায়ী করেছেন তা যুক্তিযুক্ত নয়।

 

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরীকে বিগত ওসমানী নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেন।

 

কিন্তু তিনি দলীয় সভানেত্রীর সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন।

 

ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরাজিত হন এবং বিএনপি’র প্রার্থী বিজয়ী হন।

 

এরই প্রেক্ষিতে শাস্তি স্বরুপ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ জগলু চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর পরও তাকে প্রস্তাবিত কমিটিতে প্রমোশন দেয়া হয়েছে।

 

সুতরাং প্রস্তাবিত কমিটিতে জগলু চৌধুরীকে বঞ্চিত করা হয়েছে বক্তব্যটি একেবারেই সঠিক নয়।

 

সাবেক জেলা কমিটির ত্রান সম্পাদক শেখ মখলু মিয়া বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। তার দেশে ফেরা অনিশ্চিত। সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত কমিটিতে শেখ মখলু মিয়াকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে। সুতরাং শেখ মখলু মিয়াকে বঞ্চিত করার বক্তব্যটি ও সঠিক নয়।

 

সাবেক ছাত্রনেতা সালেহ আহমদ হীরা ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন ঠিকই কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতিতে নিস্ক্রীয় রয়েছেন।

 

এছাড়া তিনি বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের কোনো পদপদবীতে ছিলেন না। সুতরাং তাকে বঞ্চিত করার বক্তব্যটিও যুক্তিযুক্ত নয়।

 

যে বা যারা ব্যক্তি স্বার্থে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন তাদেরকে এধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।

 

 

লেখক : কবির উদ্দিন , সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30