সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোঃ- সিলেট নগরীর মাছিমপুরে ভারতীয় শিলং তীর খেলার জুয়ার আস্তানা থেকে ৩ জুয়াড়িকে আটক করতে সাহায্য করায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ঐ ব্যবসায়ীর দোকান ভাংচুর সহ প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহত ব্যক্তির নাম মঞ্জু মিয়া (৩৪)। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের ছেলে ও যুব সমাজের একজন সদস্য। জানা যায়, বুধবার বিকেলের দিকে নগরীর চালিবন্দরে ভারতীয় শিলং তীর খেলার জুয়ার আস্তানা মিজানের বোর্ডে অভিযান চালিয়ে সুমন,মামুন ও সানি নামের ৩ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ।
এসময় ঐ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সুবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল দাস। ঐ সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে যুব সমাজের সদস্য মঞ্জু মিয়া জুয়াড়িদের আটক করতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন।
এরই জের ধরে ঐ দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে আটকদের পক্ষে মাছিমপুরে মঞ্জুর মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা অপি স্টোরে প্রায় ১৩/১৫ জন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় মঞ্জু মারাত্মক জখম হয়। তার পা,নাক,মুখ সহ শরীরির বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি মারধোর করে সন্ত্রাসীরা।
এসময় মঞ্জু চিৎকার করলে আশপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা মঞ্জুর মিয়ার ক্যাশে থাকা মালামাল ক্রয়ের জন্য রক্ষিত নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বর্তমানে মঞ্জু মিয়া সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ তালা ৭ নং ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মঞ্জু মিয়া জানান, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ,তার ভাই খছরু,জনি, মাহিদ আবিরসহ আরো ৫/৭ জন লোক আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এসময় মালামাল ক্রয়ের জন্য আমার ক্যাশে থাকা নগদ দেড়লক্ষ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। এ ধরনের কার্যকলাপে আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।মঞ্জু মিয়া আরো বলেন খছরুর ভাই স্থানীয় কাউন্সিলর হওয়ায় সবসময় ক্ষমতা ও দাপটের সাথে এলাকায় চলাফেরা করেন।
মাছিমপুর এলাকার কয়েক স্থানে খসরু নেতৃত্বে খোলামেলাভাবেই ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি বিক্রি হয়। নিজের কলনিতে অন্যের বউকে নিয়ে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কার্জকলাপ,কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, প্রভাবশালী হওয়ায় তারা নানাভাবে আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলাফেরা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেপরোয়া প্রকৃতির, মোস্তাক আহমদ,কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় নানা অপকর্মে আষ্টেপৃষ্ঠে কার্যকলা শুরুহয়। এবং আপন ভাই খসরু মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতা, ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়ে বাণিজ্য,নিজস্ব কর্মীবাহিনী দিয়েই খসরু এসব কাজ করে থাকেন। এব্যপারে তিনি থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।