মোঃ মালিক মিয়া,কমলগঞ্জ::
পৌরসভা গঠনের ২০ বছর পর প্রথমবার সড়ক বাতিতে আলোকিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ কমলগঞ্জ পৌর এলাকা। এ পৌর সভার বর্তমান মেয়র উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জুয়েল আহমদ।
তিনি পৌরসভায় প্রথম বার আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। জুয়েল আহমদ’এর বিগত সাড়ে ৪ বছরে পৌর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করার পর।
জনগন’কে দেয়া নির্বাচনী ওয়াদা পুরনে এবং রাতের বেলা পৌর এলাকায় অপরাধ দমনে ৯ টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক গুলোতে সড়ক বাতি জ্বালিয়ে আলোকিত করলেন কমলগঞ্জ পৌর এলাকা। প্রতি ৫০ ফুট পরপর এ সড়ক বাতি থাকার ফলে রাতের বেলা কোন দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এখন আর নেই বললেই চলে।
ফলে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর ভুতুড়ে অন্ধকার সড়ক গুলো সড়ক বাতিতে আলোকিত হলো। পৌর নাগরিকগণের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, বিগত তিন টাইমে সড়কে সড়ক বাতি লাগানোর কথা দিয়েও কথা রাখতে পারেননি বর্তমান পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ ছাড়া কেউওই।
বর্তমান মেয়র জুয়েল আহমদ নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রাথমিক পর্যায়ে গত বছর এ পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে কিছুসংখ্যক সড়কবাতি স্থাপন করা হলেও বর্তমানে সারা পৌর শহর জুড়ে সড়ক বাতি স্থাপন করে গত ( ৩০ আগস্ট) সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড.মো: আব্দুস শহীদ সুইচ টিপে এ সড়ক বাতির শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর হতেই এক সুইচে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত আলো ছড়াচ্ছে এ সড়ক বাতি গুলো।
এছাড়াও পৌর এলাকার যে স্থানগুলোতে বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি সে সমস্ত এলাকায় সর্বমোট ৯ শতাধিক বিদ্যুৎ ও সৌর প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে রাতের বেলায় পৌর নাগরিকের নির্বিঘ্নে চলাফেরার জন্য আলো ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ আলাপে এ প্রতিনিধি’কে বলেন, এই প্রথমবারের মতো পৌর শহরের প্রধান সড়ক সহ সদরের বিভিন্ন সড়কে নিজস্ব খুঁটি স্থাপনের মাধ্যমে সড়কবাতি লাগানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিগত নির্বাচনের সময় ভোটারদের কাছে আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার সিংহভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এবং আগামিতে শহরের সকল ছোট সড়কগুলোতেও সড়কবাতি লাগানোর চিন্তাধারা রয়েছে।
স্থানীয় নাগরিকরা জানান ১৯৯৯ সালের ৭ অক্টোবর ৯.৮৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৪টি গ্রাম ৯টি ওয়ার্ডে নিয়ে। ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদ এমপি পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মেয়র পদটি বিএনপি’র দখলে চলে যায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর অবশেষে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মো.জুয়েল আহমদ মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছিলেন।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে পৌর শহর সদর সহ আলোকবাতি লাগালোর কারনে আলোকিত হলো শহর এতে খুশি পৌরবাসী।