স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আলোচিত মক্ষিরাণী সুনারা বেগম ও তার ছেলে আতিকুল ইসলাম সোহান (আহমেদ সোহান)সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করে বাজে মন্তব্য করার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শাহপরান (রহঃ) থানা সি.আর মামলা নং-১৭৩/ তারিখ ৩০-০৭-২০২০ ইং।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার ঠাকুরের মাটি ঘাটেরচটি (চানপুরিছড়া পশ্চিম অংশ) গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার জহির (৩৫), রফিক মিয়ার ছেলে জাকির (৩৩), মৃত-আরমিন মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৪০) ও একই উপজেলার রামেশর ১ম খন্ড গ্রামের মৃত-মঞ্জুর মিয়ার স্ত্রী জরিনা বেগম। সুনারার ছেলে সোহান ওই ছাত্রীর ছবি এডিট করে তার ছবির সাথে দিয়ে ফোসবুকে পোষ্ট করতো।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মক্ষিরাণী সুনারা বেগম ও তার ছেলে সোহানকে নিয়ে গত ৭ জুন রাতে শাহপরান (রহঃ) থানাধীন পীরেরবাজার টিকরপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে হৈচৈ শুরু করেন সুনারা। পরে মেয়ের পিতা কি বিষয় জানতে চাইলে সুনারা বলেন- তর ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবো।
তখন মেয়ের পিতা কোন প্রকার উত্তেজিত না হয়ে সুনারা ও তার ছেলেকে বুঝিয়ে এবং বিয়ের জন্য কিছু দিন সময় চেয়ে তাদের সম্মানের ভয়ে বাড়ি থেকে বিদায় করেন। পরে নিকট থেকে বিস্তারিত যেনে শাহপরান (রহঃ) থানায় একটি অভিযোগ করেন। যার নং-৬০৭/ তারিখ- ১১-০৬-২০২০ ইং। অভিযোগের খবর পেয়ে সুনারা আরও বেশি কিপ্ত হয়ে উঠেন।
এরপর এই বিষয়টি নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারে একটি শালিস বৈঠকের কথা ছিলো। কিন্তু সুনারা ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। এমনকি মেয়ের পরিবারকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় এবং স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করার হুমকি দেয়।
সর্বশেষ মক্ষিরাণী সুনারা দলবল নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে এবং ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। তাদের পরিবারের সদস্য বাধা দিলে সুনারা বেগমের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে মারধর ও ঘরের বিভিন্ন জিনিষপত্র ভাংচু করেন।
এমনকি সুনারার সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ছাত্রীর ঘরে থাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ৯০ হাজার টাকা ও প্রায় দুই লক্ষ টাকা স্বর্ণ-অলংকার নিয়ে যায়। পরে স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলামান রয়েছে।
কিন্তু মামলা করেও শান্তিতে নেই ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। মক্ষিরাণী সুনারা প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। যে কোন সময় এই পরিবারের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারেন।