জাহিদুল ইসলামঃ গাইবান্ধা জেলা,বৃষ্টিপাত, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বাঁধভাঙ্গা বন্যায় চিড়ার মিল, গুড়ের কারখানাগুলো নিমজ্জিত হওয়ায় এবং চাহিদা বেশী থাকার ফলে গাইবান্ধায় চিড়া-গুড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। বিকল্প খাবার হিসেবে পানিবন্দি ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বন্যার্তদের জন্য তৈরী হচ্ছে রুটি। গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগ বানভাসিদের জন্য এই রুটি তৈরী কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়। প্রতিদিন ১ লাখ রুটি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শনিবার (২০ জুলাই) সকালে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে রুটি তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই রুটি তৈরী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি।
গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুটি তৈরী কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন দুলাল, সদর থানা অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য এ্যাড. আবু আহমেদ কনক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা পারুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মো. সাঈদ হোসেন জসিমসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন বলেন, ‘গাইবান্ধার মানুষ আজ ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে। এইসব বন্যার্ত মানুষের খাবার রান্না করার বাস্তবতা নেই। বানভাসিদের তৈরি খাবার যোগান দিতে গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগ ‘রুটি তৈরী কর্মসূচি’ গ্রহন করেছে। প্রতিদিন ১ লাখ রুটি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক রুটি তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন। আমরা জেলার বন্যা কবলিত সব এলাকায় বন্যার্তদের কাছে এই রুটি পৌছে দিতে চাই। পানিবন্দি অবস্থায় মানুষ যতদিন থাকবে এই কর্মসূচি সেইদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’ স্বত:ফুর্তভাবে যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন, নগদ অর্থ ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন।