২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মাধবপুর স্টেডিয়ামে ব্যবসায়ীদের দূর্ভোগ সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে পানি

অভিযোগ
প্রকাশিত জুন ২০, ২০২০
মাধবপুর স্টেডিয়ামে ব্যবসায়ীদের দূর্ভোগ সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে পানি

মোঃ জাকির হোসেন,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের মাধবপুর স্টেডিয়ামে অস্থায়ী ভাবে বসানো বাজারে সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে পানি। কর্দমাক্ত হয়ে চলার অনুপযোগী হয়ে পরে। এতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

 

করোনার পরিস্থিতির কারনে মাধবপুর বাজারে জনসমাগম ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন মাধবপুর সবজি বাজার, মাছ বাজার, চাউল, পান , শুপারি বাজার মাধবপুর স্টেডিয়ামে অস্থায়ী ভাবে বসার অনুমতি দেন। প্রশাসনের নির্দেশ মত বাজারের সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা , চাউল বিক্রেতা, পান বিক্রেতা পলিথিন ও বাশ দিয়ে দোকান নির্মান করে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু স্টেডিয়াম মাঠ কি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়। কর্দমাক্ত হয়ে হাঁটাচলা করার উপায় থাকে না।

 

স্টেডিয়ামের ব্যবসায়ীরা জানান, মুদি দোকান গুলো বাজারে রয়ে গেছে। অনেক সবজি বিক্রেতাও বাজারে লুকিয়ে সবজি বিক্রি করে। এতে করে স্টেডিয়ামে ক্রেতাদের উপস্থিতি এমনিতেই কম।

 

তার উপর স্টেডিয়ামের যে অবস্থা এখানে ব্যবসা করা কতটা কঠিন সেটা যারা করে তারেই বুজতে পারে। রোদ উঠলে রোদে পুড়তে হয়। বৃষ্টি হলে পানি পরে। মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সারা মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে যায়। তাই এই মাঠ থেকে সোনাই নদীর পারে নির্মিত রাস্তায় যদি বাজার স্থানান্তর করা হয় তাহলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের উপকার হবে।

 

সবজি বিক্রেতা রিপন মিয়া জানান, পেঠের জ¦ালায় দোকান নিয়ে বসেছি । কিন্তু বেঁচা বিক্রি নাই। কাষ্টমার মুদি মাল , চাউল বাজারে পাচ্ছে , টুকটাক সবজি ও বাজারে পেয়ে যাচ্ছে তাই এখানে আসে না। সবজি বিক্রেতা লুৎফুর রহমান জানান, আমরা রোদে শুকায় , বৃষ্টিতে ভিজি। তার উপর কাদায় চলাচল করা কষ্টের। কাষ্টমার আসে না।

 

আমাদের বেঁচা বিক্রি নাই। এখান থেকে সরিয়ে যদি সোনাই নদীর পাড়ে নতুন রাস্তায় বসানো হয় তাহলে আমাদের উপকার হবে।

 

সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক ছুট্রো মিয়া জানান, সবচেয়ে বড় সমস্যা বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই কাঁদা হয়ে যায়। কাদার কারনে কাষ্টমার আসতে পারে না। একদিন মাল কিনলে ৩ দিন থাকে। কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যায়। আমরা গরীব তাই আসি ব্যবসা করতে। প্রশাসনের আইন আমরা মানি।

 

প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি সোনাই নদীর পাড়ে যে নতুন রাস্তাটি হয়েছে সেখানে যদি আমাদের স্থানান্তর করা হয় তাহলে ক্রেতা বিক্রেতা সবার উপকার হবে।

 

সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি সানু মিয়া জানান, রোদ , বৃষ্টির মধ্যেই ব্যবসা করতে হয়। যদি কোন শুকনো জায়গায় সবজি ব্যবসায়ী সহ স্টেডিয়ামে যারা ব্যবসা করে তাদের সরোনা হয় তাহলে উপকার হবে। কাষ্টমারের দাবিও এটা শুকনো জায়গায় যাবার।

 

সবজি বাজারের ক্রেতা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠকি সম্পাদক মেহেদি হাসান কুতুব জানান, কাঁদা পানির মধ্যে লোকজন বাজার করতে পারে না। সেই জন্য স্টেডিয়ামের বাজার টিকে সরিয়ে যদি সোনাই নদীর পাড়ে নতুন রাস্তায় নেওয়া হয় তাহলে ক্রেতা বিক্রেতা সবার উপকার হবে।

 

মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসনুভা নাশতারান জানান, মাধবপুরে রোড জোনে রয়েছে।

 

তাই আগামীকাল ( রোববার) থেকে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সাথে সবজি বাজারও বন্ধ থাকবে। তাই আপাদত্ত স্থানান্তরের কোন সম্ভবনা নেই।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30