মোঃ অলিয়ার রহমান,কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
কেশবপুরে পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় ক্রেতারা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীরা সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে দিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে মুদির দোকানসহ বিভিন্ন দোকানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা করে দিলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে মুদি ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের নিকট থেকে দাম বেশি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির কারণে কৃষকদের ক্ষেতের কাঁচা সবজি পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রোজা শুরু হওয়ার আগে যে সবজির মূল্য ছিল রোজা শুরুর পর থেকে প্রতি সবজির কেজিতে বেড়েছে ৫/ ৮ টাকা করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে অস্থায়ী কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায় যে, প্রতি কেজি বেগুন ৬০, পটল ২৫, কাঁচ কলা ২৮, ভেন্ডি ২০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, বরবটি ২৫, পেঁপে ২০, আলু ২২, পেঁয়াজ ৫০, রসুন ১২০, কাঁচা মরিচ ৪০, ঝিঙ্গা ৩০, লালশাক ২০, শসা ৫০ টাকা, কুশি ১৫ টাকা,লাউ ১৫ টাকা,ধনেপাতা কেজি ৬০ টাকা টমেটা ২০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা, ডাটা ১৫ টাকা, উচ্ছে ৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০ টাকা,দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চালের বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে মোটা ২৮ চাল,৩০ থেকে ৪২ টাকা, চিকন চাল,৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, বুটের ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা,মুগির ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা,সবিন তৈল ৯০ থেকে ১শত টাকা,পাম তৈল ৭০ থেকে ৮০ টাকা,ছোলা ৭৫ টাকা,ডিমের হালি ৩২ টাকা,মুড়ি প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১শত টাকা।
এছাড়াও মসলা মাছ ও মাংসের দামও বেশি বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতারা জানান, কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের ক্ষেতের কাঁচা সবজি পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৫/৮ টাকা দরে বেড়েছে। কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী আয়ূব আলী শেখ খলিলুর রহমান, আমজাদ হোসেন মফিজুর রহমানসহ অনেকই জানান, কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ক্ষতি হয় কৃষকের কাছ থেকে আমরা একটু বেশী দামেই সবজি ক্রয় করছি। সেকারণে সবজির দাম বেড়েছে।
মুদি ব্যবসায়ী মানিক,তপন,গশেন পাল,ইউনুচ আলী, হাকিম গাজী,বাবলু রহমানসহ অনেকই জানান,করোনা ভাইরাসের কারণে খাদ্য সামগ্রী আসতে না পারায় আমরা একটু বেশী দামেই পণ্য ক্রয় করছি। সেকারণে একটু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে মুদির দোকানের মূল্য তালিকা অনুযায়ী আমরা ক্রেতাদের কাছে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রির করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, বাজারে মূল্য তালিকা ছাড়া যদি কোন ব্যবসাযী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি ন্যায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।