আবু সাঈদ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :-
শ্রীপুর জৈনা বাজার কলেজ রোড প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে গলা কেটে হত্যার মূল হোতা খুনি ধর্ষণকারী পারভেজ কে গ্রেফতার করা হয়েছ।
গ্রেপ্তারকৃত এই পারভেজ একই পরিবারের চারজনকে হত্যার আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জৈনা বাজার আঃ আউয়াল ডিগ্রি কলেজের পিছনে ভাড়াটিয়া নীলিমা নামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিলেন এই পারভেজ। ঐ ঘটনায় পারভেজের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
বয়স বিবেচনায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হন পারভেজ গত বৃহস্পতিবার প্রবাশী পরিবারে ৪ খুনের রহস্য উদঘাটনে দেবর-ননদসহ সাত জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনাবাজার কলেজ মোড় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ফাতেমা আক্তার স্মৃতি (৪০), মেয়ে নুরা (১৬), হাওরিন (১২) ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৭)।
নিহত স্মৃতির শ্বশুর আবুল হোসেন বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানান, ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত স্মৃতির স্বামী রেজোয়ান হোসেন কাজল দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী। তিনি ওই এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন।
কাজলের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের পাগলা থানার পশ্চিম গোলাবাড়ী। তার বাবা-মা ও ছোট ভাই আরিফ পাশের বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় থাকেন।
কাজলের বাবা বলেন, ঘটনার পর তার ছেলে আরিফ (৩০), ছেলের বউ শিল্পী, ছোট মেয়ে শিউলী ও শিউলীর ছেলে মেহেদীকে (২৪) সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক এসে ধরে নিয়ে গেছেন।
এ ছাড়া শুক্রবার রাতে গোলাবাড়ী থেকে তার ভাতিজা মোজাম্মেল হকের ছেলে নাঈম (২০), আকবর আলীর ছেলে কামাল (২২) এবং সিরাজুল হকের ছেলে আয়নালকে (২৩) ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
কাজলের বোন ডলি বলেন, আরিফকে পুলিশ ঘটনার দিনই নিয়ে গেছে। শিউলী ঘটনা শুনে স্বামীর বাড়ি থেকে গিয়ে আরিফের স্ত্রীর সাথে বাসায় ছিলেন। পরদিন তাদেরকে ধরে নেওয়া হয়।
কাজল মালয়েশিয়া থেকে মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তা আমি জানি না। আমি সকলের সহযোগিতায় রহস্য উন্মোচন হোক, এটা চাই।
শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এখনো হত্যাকাণ্ডের কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আনা হয়েছে।