মোঃ মনিরুজ্জামান (মনির), রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
রংপুর সদরে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা এক ব্যাক্তির বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে কাউকে আতঙ্কিত না হয়ে সঙ্গরোধ ও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে ঘরে থেকে থাকতে বলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের জানকি ধাপেরহাট এলাকার মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
বাড়িগুলোতে প্রশাসনের উপস্থিতিতে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তির বয়স ৫২ বছর। তিনি ঢাকায় কাওরান বাজারের একটি সবজি বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে ১০ বছর ধরে কাজ করতেন। গত রোববার ঢাকা ট্রাকে করে রংপুরে ফেরার পথে বগুড়ায় পৌঁছে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ট্রাক চালক তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যান। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই খবর জানতে পেয়ে তার জামাই বগুড়ায় ওই হাসপাতালে শ্বশুড়কে দেখতে যান। পরে বুধবার আইইডিসিআর থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এতে তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
পরবর্তীতে তার জামাই শ্বশুরবাড়ি জানকি ধাপের হাটে অবস্থান করায় ওই বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
এদিকে শ্বশুরের করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানার পর সঙ্গে থাকা জামাতাসহ আরেকজন কাউকে না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসেন। কয়েকদিন ধরে তাদের খোঁজ করার পর আজ সকালে অবস্থান হওয়ার পর ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সোহেল রানা বলেন, সকাল দশটার দিকে প্রশাসনের লোকজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাদেরকে ঘর হতে বের হতে বারণ করা হয়েছে। সেখানে গ্রাম পুলিশ রাখার পাশাপাশি খাবার সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।