চিলমারী প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষগুলো। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। আর এই নিম্ন আয়ের মানুষদের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশের নিজ অর্থায়নে জরুরিভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরিব ও দুস্থ্য মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।
গতকাল শুক্রবার সোশাল মিডিয়া ফেইসবুক মারফত পুলিশ সুপার জানতে পারেন চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে দুর্গম চরে খাদ্য সংকটে রয়েছেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার চিলমারী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
শনিবার সকালে ওসি আমিনুল ইসলামসহ ৪ জন পুলিশ সদস্য নৌকা পাড়ি দিয়ে ৩ কিঃমি পায়ে হেটে চলে আসেন বৃদ্ধ ফুলমিয়ার বাড়িতে।
বৃদ্ধ ফুলমিয়া অবস্থা দেখে চিলমারী থানা পুলিশ নিজস্ব তহবিল থেকে এক সপ্তাহের চাল,ডাল,তেল, সাবান এবং কাঁচাবাজার প্রদান করেন।পরর্বতিতে সমস্যা হলে চিলমারী থানাপুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
ফুলমিয়া চিলমারী ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের মনতোলা গ্রামের একজন বাসিন্দা।গত ২০১৮ সালের বন্যায় বসতভিটা নদীতে বিলিন হয়ে যায় ফুলমিয়ার।৫নং চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: গয়ছল হক মন্ডল চর শাখাহাতী নতুন আবাসন কেন্দ্রের একটি ঘর তার নামে বরাদ্দ দেন।
দিন মজুরের কাজ করে জীবন অতিবাহিত করলে দির্ঘ ৩ বছর অসুস্থতায় ভুগছিলেন ফুলমিয়া।
উল্লেখ্য কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান করোনা সচেতনতায় জেলার ৯ টি উপজেলার থেকে ২০০ জন সেচ্ছাসেবী এবং আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন।