১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলের নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধা মা!

অভিযোগ
প্রকাশিত এপ্রিল ২, ২০২০
ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলের নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধা মা!

এম এ সালাম রুবেল, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ে পার্ষন্ড ছেলের নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধা মা রহিমা খাতুন(৬০)। সদর উপজেলা ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নে আরাজী হাজী পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানান, হাজী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত.খমির উদ্দীনের ছেলে গিয়াসউদ্দিন (৬৫) এর সাথে একই ইউনিয়নের রহিমা খাতুনের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের পরিবারে আসে এক ছেলে ও চার মেয়ে । একমাত্র ছেলে রাজ্জাক (৩৫) এর বিয়ের পর থেকে গর্ভধারিনী বৃদ্ধা মা রহিমা খাতুনের উপর চলে নানান ভাবে নির্যাতন। ঠিকমতো ভরন পোষণ দেওয়া হয় না বৃদ্ধা রহিমা খাতুনকে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম জানান,বৃদ্ধা রহিমা খাতুন সম্পর্কে আমার চাচি হবে। তার একমাত্র ছেলে রাজ্জাক এর বিয়ের পর থেকে দেখি চাচিকে বিভিন্ন ভাবে তার ছেলে রাজ্জাক ও স্বামী গিয়াসউদ্দিন নির্যাতন করে। প্রায় তাদের সংসারে ঝগড়া লেগে থাকে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো আমাদের হুমকি দেয়। মামলার ভয় দেখায়।

 

বৃদ্ধা রহিমা খাতুন (৬০) জানান,আমার ছেলে রাজ্জাকের বিয়ের পর থেকে আমাকে তারা দেখতে পায় না। বিভিন্ন ভাবে আমার উপর নির্যাতন চালায়। দেখেন আমার শরীরে মারধরের কতো চিহ্ন। আমার স্বামী গিয়াসউদ্দিন,ছেলে রাজ্জাক ও বউমা ববিতা তারা সবাই এক হয়ে আমাকে মারধর করে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে। আমাকে ঠিক মতো ভরন পোষণ,কাপড় দেয় না। কিছু বলতে গেলে তারা মারধর করে। আমি এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমার কেউ নেই। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

 

ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৩৫) আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,আমার মা বেশি কথা বলে। আপনাদের কাছে ভুয়া অভিযোগ করেছে। আমার বউয়ের সাথে কোন মিল নাই। তাই মাঝে মধ্যে ঝগড়া কাচাল হয়৷ আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন।
স্বামী গিয়াসউদ্দিন (৬৫) বলেন, চাচা এগুলো বলে লাভ নাই। আমার বউ কোন কথা শুনে না।

 

জেলে যেতে হলে যাবো। আপনাদের কী করার আছে করেন। এখানে পুলিশ আসলেও লাভ নাই। এ বিষয়ে ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়ন ৯ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, ৩০ বছর থেকে তাদের পরিবারে এ সমস্যা দেখি আসতেছি। আমি কয়েকবার মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও কোন কাজ হয়নি। তারা কাউকে মূল্যায়ন করে না। প্রায় দেখি ঐই বৃদ্ধা মহিলাকে তারা মারধর করে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031