পুনম শাহরীয়ার ঋতু: গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার জরুন পেয়ারা বাগান এলাকায় বুধবার দুপুরে ফরিদা আক্তার (৭) নামের এক শিশু বিদ্যূৎ স্পর্শে পুরো শরীর পুড়ে গেলো। ওই শিশুর বাবাফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আমির উদ্দিন খন্দকারের বাড়ীতে একটি কক্ষ ভাড়া করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন।
এলাকাবাসী জানায়, ওই শিশু দুপুরের দিকে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীর একটি নিমার্ণাধীন বাড়ীর দ্বিতীয় তলায় খেলতে উঠেন। ওই সয়ম ওই বিল্ডিং ছুই ৩৩ কেবি তারের সাথে ফরিদার পিঠ ঠেকে যায়।এতে শিশু ফরিদা আক্তারের শরীরে বিদ্যূতায়িত হয়ে শরীরে থাকা কাপড়ে আগুন ধরে যায়। ওই সময় শিশুর বাবা ফারুক হোসেন একটু দুরে দাঁড়িয়ে ধুমপান করার সময় এ দৃশ্য দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের
লোকজন এগিয়ে এসে বিদ্যূতের তারে ঝুলে থাকা শিশু ফরিদাকে শুকনো একটি বাঁশ
দিয়ে তারে একাধিক আঘাত করে ছাড়িয়ে আনে।
এসময় শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্বজনে উদ্ধার করে শরীরে পানি ঢালেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যান।
শিশুর বাবা ফারুক জানান, আমার মেয়ের শরীরের পিঠ পুড়ে গেছে। এতে ফরিদার জীবন
সংকটাপ্ন হয়ে পড়ে। তবে পুড়ে যাওয়া শিশু চিকিৎসা ব্যয় বাড়ীর মালিক বহন করতেছে।
বাড়ীর মালিক আমির উদ্দিন খন্দকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার নিমার্ণাধীন বিল্ডিং
ঘেষে তার পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা হয়েছে গাজীপুর পল্লী বিদ্যূৎ কোনাবাড়ীশাখায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা তার না সরানোর কারণে দূর্ঘটনা ঘটছে। আহত শিশুর সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করবো।
গাজীপুর পল্লীবিদ্যূৎ সমিতির কোনাবাড়ী শাখার ডিজিএম বাদল মিয়া জানান, ওই
বাড়ীওয়ালা কোন আবেদন করে নাই। তবে বাড়ীর বিল্ডিং করার আগে বিদ্যূতের তার
আমাদের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়ে কাজ করাই শ্রেয় মনে করি।