১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই, উন্নয়নই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

অভিযোগ
প্রকাশিত জুলাই ১, ২০১৯
আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই, উন্নয়নই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার কোনো চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। মা-বাবাসহ সব হারিয়েছি। আমার লক্ষ্য একটিই- এ দেশের উন্নয়ন করে যাওয়া। আমার বাবা আজীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, তিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আমি তার দেখানো পথে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর ওপর নির্মিত ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর’উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। পর পর দুবার ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করেছি। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে যে উন্নয়ন করা যায় তা আমরা করে দেখিয়েছি।

বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ। এর সুফল ভোগ করবে দেশের মানুষ।

ধরলা নদীতে সেতুটি বাস্তবায়নের ফলে রংপুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের মানুষের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। ধরলা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধন করে তা এই তিন জেলার মানুষকে ঈদ উপহার হিসেবে দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে আমি গিয়েছি। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের প্রতিটি উপজেলায় গিয়েছি। সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শুনেছি। সরকারে আসার পর এসব মানুষের উন্নয়নে নানা উদ্যোগও নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধরলা নদীর ওপর প্রথম সেতু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই হয়েছিল। এবার ধরলার দ্বিতীয় সেতুটি কুড়িগ্রাম, রংপুর ও লালমনিরহাটের মানুষকে আমি ঈদ উপহার হিসেবে দিয়েছি। এটি আপনারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ধরলার প্রথম সেতু আমি উদ্বোধন করে যেতে পারিনি। তা পরবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের মাস-দুয়েকের মধ্যে উদ্বোধন করে। কিন্তু তারা তখন বলে আগের সরকার কোনো উন্নয়ন করেনি। অথচ আমাদের করা সেতুই গিয়ে তারা উদ্বোধন করেছে। যদিও পরবর্তী সময়ে ওই সেতু দিয়ে যাতে আমি চলাচল করতে না পারি সে জন্য পাথর ফেলে তা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031