২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ধুলোতে নাকাল রাজধানীবাসীর জীবন

অভিযোগ
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ধুলোতে নাকাল রাজধানীবাসীর জীবন

মনির সরকার :: স্বাস্থ্যসম্মত শহরের বৈশিষ্ট্যের প্রায় পুরোটাই ধীরে ধীরে হারাচ্ছে রাজধানী ঢাকা। উন্নয়ন কাজের জন্য সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির ধুলাবালিতে উষ্ঠাগত রাজধানীবাসীর জীবন। বছরজুড়ে চলা উন্নয়ন কাজের জন্য ফুটপাত অনেক সড়কেই বিলিন হয়েছে। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব পথেই চলতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। স্বাস্থ্যসম্মত শহরের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য চলাচলকে প্রাধান্য দেয়ার পরামর্শ চিকিৎসক ও সমাজবিজ্ঞানীদের। ধুলাবালির অন্ধকারে সে সতেজ পরিবেশের কথা ভুলে গেছেন নগরবাসী।

 

মেগাসিটি ঢাকায় জীবন জীবিকার প্রয়োজনে ছুটতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘিরে রাখা হয়েছে চিরচেনা ফুটপাথসহ অর্ধেক রাস্তা। বাধ্য হয়েই ব্যস্ত সড়কে নামতে হচ্ছে পথচারীকে। এছাড়া বছরজুড়ে চলা সেবা সংস্থাগুলোর সংস্কার তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে নগরবাসীকে এ হযবরল অবস্থায় ভুগতে হচ্ছে নানা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়।

 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বেনজীর আহমেদের মতে, স্বাস্থ্যসম্মত শহরের জন্য যে আচরণ করা উচিত তার পুরোটাই অনুপস্থিত রাজধানীতে।

 

তিনি বলেন, একটা স্বাস্থ্য সম্মত শহর হওয়ার জন্য যে আচরণ করা উচিত, সেই আচরণ থেকে আমরা বহু দূরে। মানসিক এবং নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতা এবং রোগ সৃষ্টি হচ্ছে তার যে মূল্য, সেই মূল্য আমরা এ শহরের উন্নয়ন নিয়ে যে সুবিধা পাব সেটা তার চেয়ে বেশি হবে না।

 

এ অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ শহরের জন্য ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রকে সমানভাবে দায়ী করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম। উন্নয়নের সঙ্গে জনগণের স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

 

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ, সড়কে নির্মাণ কাজসহ নানা সমস্যায় জর্জড়িত নগরবাসী। পায়ে চলার সে পথটি- ফুটপাত, সেই পথে এখন তারা চলতে পারছেন না। কারণ বেশ কিছু জায়গায় উন্নয়ন কাজের জন্য এ ফুটপাতগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ দূষণের সমস্যা, ধূলার সমস্যা। যা নাকাল করে ছেড়েছে নগরবাসীকে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চান নগরবাসী।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30