ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
সরকার দেশের প্রতিটি জেলা পরিষদের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে কিছু ইজিবাইক বিতরণ করেছে, যাতে করে প্রতিবন্ধীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মোটামুটি সচ্ছল ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। সম্প্রতি মাগুরা জেলা পরিষদের মেম্বার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন তুষার জেলার সদর থানার আজমপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী মতিয়ার এর কাছ থেকে দুই দফায় ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল একটি ইজিবাইক দেবে বলে, পরে দুই বছর ঘুরিয়ে ও বিভিন্ন তাল বাহানা করে, তিনি আরো অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন, কিন্তু প্রতিবন্ধী মতিয়ার অতিরিক্ত টাকা প্রদানে ব্যর্থ হলে তিনি তাকে ইজিবাইক দেননি। পরে জগদল গ্রামের আবু বক্কর এর কাছ থেকে ৫০০০০ টাকা নিয়ে বক্কারকে ইজিবাইক প্রদান করে।
ভুক্তভোগী মতিয়ার বলেন “আমি একজন প্রতিবন্ধী, আমাকে দুই বছর ধরে ঘুষ নিয়ে অনেক হেনস্থা করেছে জেলা পরিষদের মেম্বার তুষার, দুঃখ একটাই দুই বছর অপেক্ষার পরও ইজিবাইক তো পেলামই না, উল্টো অনেক গ্যাঞ্জাম করে তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিবন্ধী বলে মনে হয় না আবু বক্কার যিনি ইজিবাইক পেয়েছেন, তিনি তুষারকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ কম থাকার ফলে তুষারের মতো মেম্বাররা এসব প্রতিবন্ধীদেরকে নিয়ে রীতিমতো ব্যবসার ফাঁদ পেতে নিয়ে বসেছে। এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা পরিষদের মেম্বার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন তুষার এর মুখোমুখি হলে তিনি বলেন “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ থাকতেই পারে, এগুলো কোন লিখিত প্রমাণ না, তাই আমি অভিযোগ অস্বীকার করলাম”। তিনি নিজেকে যুবলীগ কর্মী বলে দাবি করলেও মাগুরা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান জানান সাজ্জাদ হোসেন তুষার নামে মাগুরাতে কোন যুবলীগ কর্মী নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলাপরিষদের একজন কর্মচারী বলেন তুষার এর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়, তিনি মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকেও কমিশন গ্রহণ করেন।
এদিকে মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু পঙ্কজ কুমার কুন্ডু কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন “ব্যাপারটা আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত নেব।