১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

প্রতিমন্ত্রীর স্বজন পরিচেয়ে কক্ষ পরিদর্শীকাকে হুমকি

অভিযোগ
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
প্রতিমন্ত্রীর স্বজন পরিচেয়ে কক্ষ পরিদর্শীকাকে হুমকি

চিলমারী,(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট এ ইউ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা না দেয়ায় পরিদর্শীকা চায়না বেগমকে পুলিশে
দেবার হুমকি দিলো প্রতিমন্ত্রীর স্বজন
পরিচয়কারী এক পরিক্ষার্থী। এসময় ছাত্রীর বাবা প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক পরিচয়দানকারী এনামুল হক এসে কেন্দ্রে বিশৃংখলা সৃষ্টি করলে উক্ত পরিদর্শীকাকে তাৎক্ষনিকভাবে অন্য কক্ষে ডিউটি দিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন কেন্দ্র সচিব।
ঘটনার শিকার কক্ষপরিদর্শীকা চায়না বেগম জানান, মঙ্গলবার বাংলা-২য় পত্র পরীক্ষায় উক্ত বিদ্যালয়ের ১২নং কক্ষে আমার ডিউটি ছিল কক্ষ পরিদর্শীকা হিসেবে। পরীক্ষা চলাকালিন সময় থানাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী অর্পিতার খাতা নিতে গেলে সে আমাকে বলে আমাকে চেনেন? সময় না দিলে আপনাকে পুলিশে ধরিয়ে দেব। এসময় পেয়ে মেয়ের বাবা এনামুল হক এসে আমাকে অপদস্থ ও অসম্মান করেন। পরিবেশ উত্তপ্ত দেখে কেন্দ্র সচিব এসে আমাকে অন্য কক্ষে ডিউটি দেন। পরীক্ষা শেষে আবারো এনামুল হক দলীয়
লোকজন এনে আমার উপর হামলার ষড়যন্ত্র করলে আমাকে কেন্দ্র সচিব নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেন।
কেন্দ্র সচিব ও থানাহাট এ ইউ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফাউন নাহার বলেন,প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক এনামুল হকের মেয়ে অর্পিতা ১২নম্বর কক্ষের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। বাংলা ২য় পত্রের নৈব্যত্তিক পরীক্ষা আধ ঘন্টা সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয়। এ সময়ের মধ্যে সকল পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শেষ করে সাড়ে দশটায় উত্তর পত্র জমা দিলেও ওই পরীক্ষার্থী উত্তর পত্র জমা না দিয়ে আরোও উত্তর করতে থাকে।
দুই/তিন মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর কক্ষ পরিদর্শক চায়না বেগম জোড় করে তার কাছ থেকে উত্তর পত্র নিয়ে নেয়। এসময় ওই পরীক্ষার্থী চিৎকার চেচামেচি করে কান্নাকাটি করলে তার পিতা এনামুল হক পরীক্ষার কক্ষে এসে চায়না বেগমকে অপদস্থ করেন। এবং পরীক্ষার্থী অর্পিতা তাকে পুলিশে দেবার হুমকি দেয়। পরে আমি উত্তপ্ত পরিবেশ শান্ত করতে ওই কক্ষ পরিদর্শককে সরিয়ে অন্য কক্ষে দ্বায়িত্ব দেই। পরীক্ষা শেষে মেয়েকে মারধোরের অভিযোগে এনে আবার উনি দলীয় লোকজন নিয়ে এসে পরিবেশ
উত্তপ্ত করেন। পরে পুলিশের সহায়তায়
পরিবেশ শান্ত করে চায়না বেগমকে আমি
নিজে তার বাড়িতে রেখে আসি। উনি যে
ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জানিয়েছি।
ওই কেন্দ্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন,রপ্রতিমন্ত্রীর শ্যালকের মেয়ে প্রথম পরীক্ষা থেকে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে আসছে। সুবিধা না দেয়ায় প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব খাটায় এনামুল হক। এনামুল হক মন্ত্রীর প্রভাব দেখিয়ে নানা অনিয়ম এবং অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছেন। এতে মন্ত্রী এবং সরকারের বদনাম হচ্ছে। মন্ত্রীর এ বিষয়ে সজাগ হওয়া উচিৎ।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
আমিনুল ইসলাম বলেন, আইন শৃংখলা রক্ষার্থে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। তেমন কিছু ঘটেনি পরিবেশ শান্ত আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম
রায়হান শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে
বলেন, এরকম ঔদ্ধাত্যপূর্ণ ঘটনার পূনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
পরবর্তিতে কেউ এরকম পরিস্থিতি তৈরি
চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি
আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি এখনি খোঁজ খোবর নিচ্ছি। এরকম ঘটে থাকলে বিষয়টি গভিরভাবে দেখা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031