রবিউল ইসলাম (মহেশপুর ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুরে কিশোরী বধূ রিতু হত্যার ঘটনা গত ৩ মাস পার হলেও আজ পর্যন্ত তার কোন কূলকিনারা হয়নি। এজাহার নামীয় আসামীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। মামলা তদন্ত করছে ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশ।
জানা গেছে,উপজেলার শ্যামকুড় ইউপির ডাকাতিয়া গ্রামের কিশোরী বধূর গলিত লাশ এক সপ্তাহ পর উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পিতা আব্দুস সবুর বাদী হয়ে গত ৮ই নভেম্বর মহেশপুর থানায় রিতুর স্বামী সাগর সহ ৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং-১৭(১১)১৯। হত্যা মামলার পর পুলিশ এ পর্যন্ত কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি, বা এই হত্যার এখনও পর্যন্ত কোন কুলকিনারাও হয়নি।
মামলাটি ডিসেম্বর মাসে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এস.আই নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আসামীদের পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে স্থানীয় লোকজন ও বাদীপক্ষ জানায় আসামীরা এখন প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরা ফেরা করছে।
অপরদিকে আসামীরা ধরা না পড়ায় নিহতের পিতা আব্দুস সবুর হতাশ হয়ে পড়েছে। এব্যাপরে তিনি সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য,উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের আব্দুস সবুরের মেয়ে রিতু খাতুন (১৭) গুড়দাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা কালীন সময়ে একই উপজেলার পদ্মরাজপুর গ্রামের মৃত মোমিন তরফদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাগর (২১) এর সাথে বিয়ে হয়। গত ৭ই নভেম্বর তার গলিত লাশ পুলিশ ডাকাতিয়া গ্রামের ঈদগার পাশে লিচু বাগানের মধ্য থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।