ইসারুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চাঁপাই-পলশা গ্রামের কৃষকদের নিয়ে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের চাঁপাই-পলশা গ্রামের ক্ষিন্নীতলা লালমাটিয়া এলাকার শাহাবাডাইং মাঠে এই কৃষক মাঠ দিবস পালন করা হয়। ইরি-এগ্রো-ইসি প্রজেক্টের অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহযোগীতায় মাঠ দিবসের কৃষি গবেষক ও কৃষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ সময় অনুষ্ঠানে ওই এলাকার কৃষক মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদাণ করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা ময়মনসিংহ প্রধান কার্যালয়ের প্রধান গবেষক বিভাগীয় প্রধান ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম। বিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্রের পরীক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞাণিক কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুজ্জামান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শালেহ আকরাম। ক্ষরা প্রবণ বরেন্দ্র এলাকায় স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট বৃষ্টি নির্ভর আমন ধানের জাত সমূহের উপযোগিতা যাচাই করে মতবিনিময় সভায় আলোচকরা বলেন,
চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের যে সকল এলাকা ক্ষরা প্রবণ সেসব এলাকার কৃষকরা স্বর্ণা ধান, পারিজাত ধানসহ আরো কিছু স্থানীয় ধান যেগুলো বিঘাতে কম ফলন দেয় সেগুলো চাষ না করে বিনা উদ্ভাবিত বিনা-১৭ ধান চাষাবাদ করলে অধিক ফলন
পাবেন। কারণ এক বিঘাতে যেখানে স্থানীয় অন্যান্য জাতের ধান ফলে মাত্র ১২ মন, সেখানে বিনা-১৭ ধান ফলে ২২ মন। আর এর ফলে এক মাঠে মৌসুমে ধান, রবিশষ্য সরিষা ও আলুর চাষ সম্ভব বলে জানানো হয় মাঠ দিবসে। এতে একদিকে
জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে এবং অপর দিকে তিন রকম ফসল ফলানোর ফলে লাভবান
হবে কৃষকও। মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি
গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবিএম শফিউল আলম, মো. খান জাহান আলী এবং বিনা ময়মনসিংহের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম আলীসহ বিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে কৃষক মো. শামসুল হকের ১০ বিঘা জমিতে উৎপাদিত বিনা-১৭ ও স্থানীয় জাতের হুটরা ধান প্রদর্শণ করা হয়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০/৮০ জন কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।