ইসারুল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর প্রতিনিধি :
গত ১৭ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক চাঁপাই দৃষ্টি’ এবং এর একদিন পূর্বে ১৬ নভেম্বর বিভিন্ন অনলাইন ও বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত ‘নাচোলে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জালসনদে চাকরিসহ অনিয়মের অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদটির প্রতি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি বানোয়াট, মিথ্যে, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর হওয়ায় এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদটিতে জালসনদে চাকরি, সহ-সুপার পদে যোগদান করেও সহকারি মৌলভীপদে বেতন-ভাতা চালু, প্রষ্ঠিানের জমি কম মূল্যে বিক্রয়, একই শিক্ষাবর্ষে ভারত থেকে কামিল ও বাংলাদেশ থেকে সমমানের শিক্ষাসনদ অর্জন, সহ-সুপার থেকে অধ্যক্ষপদে পদোন্নতির নিয়োগবিজ্ঞপ্তি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকরতথ্যনির্ভর একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস নাচোল বিএম ফাযিল মাদরাসায় অধ্যক্ষপদে চাকরি করায় এবং বিভিন্ন সেবামূলক সামাজিক কাজে জড়িত থাকায় আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েই একটি গ্রুপ আমাকে হেয় করার জন্যেই এ মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে স্থানীয় সাংবাদিকদের দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। তা ছাড়া উল্লিখিত অভিযোগগুলি নিয়ে এর আগেও থানায়, আদালতে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করা হলে প্রমানিত না হওয়ায় বিষয়গুলি খারিজ এবং নিষ্পত্তি হয়। এর মধ্যে ৮/১২/২০১০ খ্রি. তারিখে সনদ বিষয়ে জিআর-১১০/১০ নং মামলাটি দীর্ঘ শুনানীঅন্তে মিথ্যে প্রমানিত হওয়ায় ৩১/০৩/২০১৩ খ্রি. তারিখে আদালতকর্তৃক খারিজ হয়। স্বাক্ষর জালিয়তি সংক্রান্ত জিআর-০৫/১১ নং মামলাটিও দীর্ঘ শুনানীঅন্তে মিথ্যে প্রমানিত হওয়ায়ায় ০৫/০৫/২০১২ খ্রি. তারিখে আদালতকর্তৃক খারিজ হয়। অধ্যক্ষের পদ সমন্বয় ও পদোন্নতি সংক্রান্ত ৪৭/৯৭ নং অঃ প্রঃ দেওয়ানী মামলাটি দীর্ঘ শুনানী অন্তে ০২/১০/২০০২ খ্রি. তারিখ নিয়োগ বৈধ বলে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাদী দায়রা জর্জকোর্টে আপিল করলে ৩০/০৮/২০০৪ খ্রি. তারিখে আপিলটি খারিজ হয়। এছাড়া নিয়োগবাণিজ্য নিয়ে অন্তদ্বন্দ্ব দেখা দিলে তৎকালিন সভাপতি ১৬/০৮/২০১১ খ্রি. তারিখ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়তি, অর্থ আত্মসাত, স্বাক্ষর জালিয়তি ও জমি বিক্রয়সহ নানান বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরে অভিযোগ দাখিল করা হলে তদন্তঅন্তে দেয়া প্রতিবেদন ও তদ্বিষয়ে আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিটমুঞ্জর ও রুলইস্যু হওয়ায় ইবি কর্তৃপক্ষ ১৫/০২/২০১২ খ্রি. তারিখ আইনশেলে পক্ষদ্বয়ের শুনানীগ্রহণ স্বাপেক্ষে ০৯/০৫/২০১২ খ্রি. তারিখ তা নিষ্পত্তি করে আদেশ প্রদান করেন। এ অবস্থায় গত ১৬ ও ১৭ নভেম্বর/১৯ খ্রি. তারিখ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, অনলাইন ও ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করছি। সেই সাথে মিথ্যে ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে মানহানীর জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ ইসহাক
অধ্যক্ষ,
বিএম ফাযিল মাদ্রাসা নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।