৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ৩ সহস্রাধিক মোবাইল টাওয়ার বন্ধ গ্রাহক ভোগান্তি

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ৩ সহস্রাধিক মোবাইল টাওয়ার বন্ধ গ্রাহক ভোগান্তি

অভিযোগ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের তিন হাজার ১৫০টি টাওয়ার বন্ধ ছিল।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ৮০টি টাওয়ার বন্ধের কথা নিশ্চিত করেছে অপারেটরগুলো। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বিভিন্ন জেলায় গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।

 

এদিকে বিদ্যুতের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে যায়। অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এবং অপারেটরদের নিজস্ব ব্যাকআপ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক জেলায় টানা দুদিন ধরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড়ের দিন গ্রামীণফোনের ১৯০০ টাওয়ার, রবি ও এয়ারটেলের ৭০০ এবং বাংলালিংকের ৫৫০টি টাওয়ার বন্ধ হয়ে যায়।

 

দ্রুত সময়ে এসব টাওয়ারে সংযোগ দেয়া হলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ৫০০, রবি ও এয়ারটেলের ৭০০ এবং বাংলালিংকের ১৮০টি টাওয়ার সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।

 

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো বলছে, ঝড়ের সময় বিদ্যুৎলাইনগুলো থাকে না। এ ছাড়া অনেক এলাকায় নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ অফিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

 

বিদ্যুৎ ছাড়া অপারেটরগুলো নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে সাইটআপ রাখলেও শেষ পর্যন্ত অনেকেই বন্ধ করতে বাধ্য হন। ফলে অনেক জেলায় দীর্ঘ সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল।

 

এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের কমিউনিকেশনস বিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান বলেন, দ্রুত নেটওয়ার্ক ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।

 

আমরা আশা করছি, শিগগিরই অবশিষ্ট টাওয়ারগুলো চালু হবে। গ্রাহকদের আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 

তিনি বলেন, দুই-তিন বছর আগে বিদ্যুৎ গেলে আসতে সময় নিত। এখন সরকার, বিটিআরসি এবং অপারেটর যৌথভাবে কাজ করার কারণে ঝড়ের সময়েও বেশি সময় টাওয়ার সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে।

 

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিদ্যুৎ সাপ্লাই না থাকার কারণে আমাদের সাতশতাধিক টাওয়ার বন্ধ হয়ে যায়।

 

এখনও বিদ্যুৎ না থাকা এবং জেনারেটর সাপোর্ট দিতে না পারার কারণে টাওয়ারগুলো সচল করা সম্ভব হয়নি।

 

বাংলালিংকের কর্পোরেট কমিউনিকেশনস ম্যানেজার আনকিত সুরেকা বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সামান্য কিছু সময় পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পেরেছি। কিন্তু পরে আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

তিনি জানান- বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, পিরোজপুর জেলায় এখনও ১৮০টি সাইটআপ করার কাজ করছে বাংলালিংক।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031