অভিযোগ ডেস্কঃ জাতির কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে ক্ষমা না চাইলে গ্রেফতার করতে হবে অন্যথায় ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে তাকে প্রতিহত করা হবে।এমন শ্লোগানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিসিএল এর উদ্দ্যোগে ১২ ই নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার ঢাকা রাজু ভাস্কর্য,টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙার গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিসিএল’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র শীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমান রাহাত,কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আজিজ জনি, দপ্তর সম্পাদক নোমান আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য নাঈম হাসান সহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, গত ১০ নভেম্বর ২০১৯ নুর হোসেন দিবসে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ নুর হোসেনকে ইয়াবা, ফেনসিডিল খোর আখ্যায়িত করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে।উক্ত বক্তব্যে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত নুর হোসেন সহ সকল শহীদের ও তৎকালীন সময় আন্দোলনরত গনতন্ত্রকামী দেশবাসীকে অপমানিত করেছে।নুর হোসেন ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বুক ও পিঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক লিখে জীবন্ত পোষ্টার হয়েছিলেন। এরশাদের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে সেদিন নিহত হয় শহীদ নুর হোসেন।তিনি নেতা হতে নয় বরং দেশের জন্য, গনতন্ত্রের জন্য নিজের থেকেই মিছিলে গিয়েছিলেন এবং জীবন উৎসর্গ করে দিলেন,ফলে শহীদ নুর হোসেন সম্পর্কে রাঙার করুচিপূর্ণ বক্তব্যে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহতের যেমন অপমানিত করেছে তেমনি ছাত্র সমাজ ও দেশবাসীকে মর্মাহত করেছে।তাই অনতিবিলম্বে স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্য দিবালোকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।তিনি যদি ক্ষমা না চায় তাহলে অতিদ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।অন্যথায় ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে মশিউর রহমান রাঙা কে অবাজ্ঞিত ঘোষণা করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে বলে জানান।