মোঃ মালিক মিয়া,কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রতারণা করে বিদেশ নেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করার পরে এখন স্ত্রীকে দিয়ে নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে মামলার বাদীপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে একটি প্রভাবশালী পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে কমলগঞ্জ উপজেলার বিক্রম কলস গ্রামে।জানাযায় কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের ধোপাটিলা গ্রামের এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষনের দায়ে সাজাভোগ কারী। বিক্রম কলস গ্রামের মৃত মহরম আলীর ছেলে মো.আবুল কালাম (৪৫) কমলগঞ্জ উপজেলার ৪ নং শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামের মো. তাহির মিয়ার ছেলে মো. জুবের মিয়া (২৮)কে মধ্যপ্রাচ্যের (কাঁতার) নেয়ার কথা বলে মো.
আবুল কালাম তাহার নিজ বাড়িতে এলাকার গণ্যমান্য কয়েক ব্যক্তির উপস্থিতিতে মো.জুবের মিয়ার কাছ থেকে নগদ এক কালীন মোট তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা নেন। পরে মো.আবুল কালাম তার কাঁতার প্রবাসী ছেলে মো. সুহেল মিয়া (২২) এর মাধ্যামে ভিসা পেয়ে জুবের মিয়া।
গত ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর তারিখে কাতার পৌঁছান। সে সময় জুবেল মিয়াকে জানানো হয় সে দেশের আরবীর ঘরে তার কাজ রয়েছে।সেখানে জুবের মিয়াকে কাতার বিমান বন্দরে রিসিভও করেন আব্দুল কালাম ও তার ছেলে সুহেল মিয়া।
কিন্তু কাতার পৌঁছার পরবর্তীতে জুবের মিয়াকে তালাবদ্ধ একটি রুমে আটকে রাখেন সুহেল মিয়া ও তার বাবা।
পরে সাপ্তাহ খানেক সেই তালাবদ্ধ ঘরে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে এক ধরনের বন্দী জীবন যাপন করেন জুবেল মিয়া পরে সেখান থেকে কোন রকম বেরিয়ে জান এবং ঐদিন সে দেশের রাস্তায় চলাচল কালে পাসপোর্ট বথাকা সাথে না থাকার ফলে স্থানীয় পুলিশ তাকে আটক করে এবং দীর্ঘদিন কারা ভোগের পরে শূন্য হাতেই জুবেল মিয়া দেশে ফিরে আসেন গত ২৪/০১/২০১৯ ইং তারিখে।
দেশে আসার পর জুবের মিয়া আবুল কালাম ও
তাহার ছেলে সুহেল মিয়ার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে এলাকার সালিশ বৈঠকের মাতব্বরদের কাছে সুবিচার পাবার জন্য বহু চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির স্বার্থে কয়েক দফায় বিচার বৈঠক বসে কিন্তু তাতেও কোনরূপ ফল পাওয়া যায়নি বরং সালিশ বৈঠকের কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি প্রভাবশালী পরিবারটি পরে জুবের মিয়া নিরুপায় হয়ে গত ২৫/০৪/২০১৯ ইং তারিখে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গত ২৮/১০/২০১৯ইং তারিখে আবুল কালামকে জেলহাজতে পাঠায়।
এ মতাবস্থায় আবুল কালাম এর স্ত্রী রেহেনা আক্তার (৩৭) ক্ষিপ্ত হয়ে জুবের মিয়াকে মোবাইল ফোনে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন প্রকার মামলা দিয়ে এমনকি প্রান নাশেরও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন অসহায় জুবেল মিয়া,জু্বেল মিয়া এ প্রতিবেদককে আরও জানান,রেহেনা আক্তার আরও বলেছেন আমার স্বামীর উপর মামলা তুলে না নিলে তর সুন্দর ভবিষ্যৎ আমি নষ্ট করে দিবো বেটা।
এ মতাবস্থায় জুবের মিয়া গত ২৮/১০/২০১৯ইং তারিখে কমলগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিন জনকে আসামী করে একটি সাধারণ জিডি করেন। যার নং ১৪২৯।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে,আরো জানাযায়, এই প্রভাবশালী পরিবারটির কাছে এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছে এমনকি কেউ কেউ ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা দিয়ে ভিসা পাওয়া তো দূরের কথা বরং টাকাই ফেরত পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রভাবশালী পরিবারটির অন্য সদস্যদের কে পাওয়া যায়নি তবে রেহেনা আক্তারের কাছে এই হুমকির প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্কশ ভাষায় তিনি বলেন, এই প্রসঙ্গে তিনি কিংবা তাহার পরিবার কোন জবাব দিতে বাধ্যনন। তিনার স্বামী জেলে বন্দি রয়েছেন আসলে তিনিওই এ বিষয়ে কথা বলবেন।