আব্দুল করিম, চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
“১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পরে বাঙালী যাতে করে আর কোনও দিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তাই বঙ্গবন্ধুর হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাদে’কে পৃথিবীর সবচাইতে নিরাপদ জায়গা কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনি জিয়া ও বেঈমান মোস্তাক গং রা। অথচ কারাগারে লিখাই থাকে >রাখিবো নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ,, কিন্তু সেদিন জাতীয় চার নেতাকে পৃথিবীর সবচাইতে নিরাপদ জায়গা জেলখানার ভেতরেই নির্মমভাবে হত্যা করে বেঈমান মোস্তাক এবং খুনি জিয়া বাঙালীর কপালে কলঙ্কের তিলক লাগিয়ে দেয়।কারণ টা আগেই বলেছি পৃথিবীর সবচাইতে নিরাপদ জায়গাটাই হচ্ছে জেলখানা।
অথচ সেই নিরাপদ জায়গাটার ভেতরেই জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে গুলি করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় হত্যা করা হয়।কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও চরম সত্য যে, বেঈমান মোস্তাক এবং খুনি জিয়া’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেও বাঙালী কে দাবায়া রাখতে পারেনাই বলেই স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশরত্ন-জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বারংবারই বাংলাদেশ পরিচালনা করা সহ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করেই দাঁড়িয়ে আছে।
অপরদিকে বেঈমান মোস্তাক ৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করলে মানুষ থুঃথুঃও ফেলেনি ঘেন্নায়।কারণ মানুষের থুঃথুঃর ও মূল্য আছে। আর খুনি জিয়ার ছেলে যে দেশছাড়া এবং দল বিএনপি যে আজকে মৃতপ্রায় তাতো দেখতেই পাচ্ছেন।
পুনশ্চঃ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অবকাশ টা যেহেতু কোনোভাবেই নাই। তাই ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে ৭ই নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের কে হত্যা করে তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নাম করে অবৈধভাবে খুনি জিয়া ক্ষমতা দখল করে লাভবান হওয়াতেই প্রমাণিত হয় এদেশ কে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতাকে খুনি জিয়াই হত্যা করিয়েছে।
নইলে ৩রা নভেম্বর পৃথিবীর সবচাইতে নিরাপদ জায়গা কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতা হত্যা হবেন কেনো, আর ৭ই নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের কে হত্যা করে জিয়াই বা ক্ষমতা দখল করে দুনিয়াসেরা লাভবান হবে কেনো!